স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া আশ্রয়চ্যূত করা হবে না কোনও আফগানকে, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ভারতে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া আশ্রয়চ্যূত করা হবে না কোনও আফগানকে, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 9:03 AM

নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের রাজধানীতে তালিবান পৌঁছে যাওয়ার পর ভারতের তরফে জানানো হয় যে সে দেশের হিন্দু ও শিখদের আশ্রয় দেওয়া হবে। সেই মতো বহু হিন্দু ও শিখ ভারতে এসেছেন ইতিমধ্যেই। তবে সেই সব আফগানকে যাতে কেউ দেশ থেকে বিতাড়িত করতে না পারে, তার জন্য বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র। জানানো হয়েছে যে, কোনও আফগান ভারত ছাড়বে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কোনোভাবেই যাতে আফগান নাগরিকদের হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আফগানিস্তান নতুন করে তালিবানি দখলে চলে যাওয়ার পরই দলে দলে দেশ ছাড়তে শুরু করে বহু আফগান। তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া হবে। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে আনা হলনয়া নির্দেশিকা। রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে যাতে কোনও আফগানকে দেশ ছাড়তে না বলা হয়, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। অনুমতি দিতে পারবে একমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও আফগান নাগরিক ভারত ছাড়তে চান, তাহলে যেতে পারেন। কিন্তু যদি রেজিস্ট্রেশন অফিস তাদের ‘লিভ ইন্ডিয়া নোটিস’ তথা ভারত ছাড়ার নোটিস দেয়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত নেবে কেবলমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এতে আফগান নাগরিকেরা অতিরিক্ত সুরক্ষা পাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, ভারতে বসবাসকারী যে কোনও আফগানের ক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ বিনামূল্যেই বাড়িয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে। এ ছাড়া যদি কোনও আফগান ভারতে এসে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

দিন কয়েক আগেই তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ভারত। গত মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের দোহায় ভারত-তালিবান বৈঠক হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে অংশ নেন রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। তালিবানের পক্ষ থেকে নেতা আব্বাস স্তানিকজাইয়ের উপস্থিতি ছিল সেই বৈঠকে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে তালিবানকে বেশ কয়েকটি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সূত্র জানাচ্ছে, তালিবানই ভারতের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসতে চেয়েছিল। সেই মতো কাতারের দোহায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানানো হয় যে, আফগানিস্তানের মাটিতে যেন ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ না হয়। সূত্রের খবর, আফাগানিস্তানে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা, এবং তাঁদের ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে তালিবান দখল নেওয়ার পর থেকেই যেভাবে জঙ্গিরা নিজেদের পছন্দের জায়গা হিসেবে একে ব্যবহার করা শুরু করেছে, তা নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারত। আরও পড়ুন: তালিবদের অন্দরে টানাপোড়েন চরমে, রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাসবাদী তালিকায় থাকা মোল্লা আখুন্দই হবে প্রধানমন্ত্রী!