Supreme Court: আরজি কর মামলায় বড় পদক্ষেপ, সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা ‘টাস্ক ফোর্স’ কী কাজ করবে

RG Kar Case: প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সুরক্ষার দিকে নজর দেবে টাস্ক ফোর্স। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেই নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Supreme Court: আরজি কর মামলায় বড় পদক্ষেপ, সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা 'টাস্ক ফোর্স' কী কাজ করবে
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2024 | 2:47 PM

নয়া দিল্লি: শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের খুন নয়, আরজি করের ঘটনা গোটা দেশ জুড়ে আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসক বা নার্স কতটা নিরাপদ? মহিলারা কি সত্যিই কর্মস্থলে সুরক্ষিত? এই সব প্রশ্ন ওঠায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু মামলা গ্রহণই নয়, প্রথম দিনের শুনানিতেই তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল এই ইস্যুতে একটি ‘ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স’ গঠন করা হচ্ছে। সেই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকেরা।

কারা থাকবেন এই টাস্ক ফোর্সে?

সার্জেন ভাইস অ্যাডমিরাল আরতি সারিন

ড. নাগেশ্বর রেড্ডি

ড. এম শ্রীনিবাস

ড. প্রতিমা মূর্তি

ড. গোবর্ধন দত্ত পুরী

ড. সৌমিত্র রাওয়াত

অধ্যাপক অনীতা সাক্সেনা

অধ্যাপক পল্লবী সাপ্রে

ড. পদ্মা শ্রীবাস্তব

এছাড়াও এই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল বোর্ড অব এক্সামিনার্স।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সুরক্ষার দিকে নজর দেবে টাস্ক ফোর্স। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেই নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কোন কোন দিকে গুরুত্ব দিতে হবে, সে কথাও বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

এমার্জেন্সি রুমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা।

অস্ত্র নিয়ে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা। থাকবে বায়োমেট্রিক ও ফেসিয়াল রেকগনিশন।

রোগী ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

চিকিৎসক, নার্সদের জন্য় বিশেষ রেস্ট রুম থাকবে।

সর্বত্র থাকবে যথেষ্ট আলো, থাকবে সিসিটিভি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে।

রাত ১০ টার পর ও সকাল ৬টার সময় যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে।

জরুরি পরিস্থিতিতে নার্স, চিকিৎসকদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে হবে।

এছাড়া রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। রেস্ট রুম আছে কি না, হাসপাতালে পুলিশ আউটপোস্ট আছে কি না, ব্যাগ পরীক্ষা করা হয় কি না, সব জানাতে হবে।