Sandeshkhali Case: ‘কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?’, সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের

Sandeshkhali Case: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, যেখানে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার আলাদা করে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

Sandeshkhali Case: 'কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?', সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
সন্দেশখালি মামলায় শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্যImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2024 | 1:27 PM

নয়া দিল্লি: সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে রাজ্য?’ সন্দেশখালি মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, যেখানে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার আলাদা করে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলত বছরের শুরু থেকেই রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি-র অভিযান দিয়ে যে অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনের আবহে সেই সন্দেশখালি একেবারে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে। জমি দখল, নারী নির্যাতন, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একেবারে বাঁশ, লাঠি, গাছের গুঁড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন গ্রামের মহিলারা। রাস্তায় জ্বলেছিল আগুন। নারী নির্যাতনের একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন এবং জমি দখল করার অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সে সময়ে হাইকোর্টের তরফেও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, এতদিন হয়ে যাওয়ার পরও কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

রাজ্য এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়।  গত ২৯ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে মামলাটি উঠে। কিন্তু সে সময়ে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি সওয়াল করেছিলেন, এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে, সেগুলি আদালতে জমা করতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময় শুনানি মুলতুবি রাখা হলেও, তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয়, তার নির্দেশ দেন বিচারপতি গাভাই। এদিন মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্ষবেক্ষণ,  নারী নির্যাতনের এত ভয়ঙ্কর অভিযোগ যেখানে রয়েছে, সেখানে রাজ্য কেন সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছে, তবে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে রাজ্য?

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার কিছু অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য মানুষেরই দেওয়া ট্যাক্সের টাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, বারবার পরাজিত হয়।”