Election Bond: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ SBI

SBI: নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক ঘোষণা করে এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানানোর জন্য ৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা পেরোনোর আগে সোমবার, ৪ মার্চ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল এসবিআই।

Election Bond: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ SBI
এসবিআই।
Follow Us:
| Updated on: Mar 05, 2024 | 6:24 AM

নয়া দিল্লি: নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক বলে আগেই ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার এই বিষয়ে তথ্য দেওয়া নিয়ে ফের সুপ্রিম দ্বারস্থ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI)। নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চাইল এসবিআই। তথ্য জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক।

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে গত মাসেই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক ঘোষণা করে এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানানোর জন্য ৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা পেরোনোর আগে সোমবার, ৪ মার্চ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল এসবিআই।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচনী বন্ড মৌলিক অধিকার, তথ্য জানার অধিকার (RTI) আইনকে লঙ্ঘন করে। এটা কালো টাকা নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় নয়। তাই ব্যাঙ্কগুলিকে অবিলম্বে এই বন্ড বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

এদিকে, নির্বাচনী বন্ড ইস্যু করার অধিকারী স্টেট ব্যাঙ্ক। তাই ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে হবে এবং কবে পেয়েছে সেটাও জানাতে হবে বলে এসবিআইকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে কালো টাকার লেনদেন বন্ধ করার জন্য নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল কেন্দ্র। এই স্কিম অনুযায়ীস কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিতে চাইলে, বন্ড কিনে দিতে হবে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের নির্বাচনী বন্ড পাওয়া যেত। যদিও কে, কত টাকা দিচ্ছেন, তা সকলে জানতে পারত না। তাই নির্বাচনী বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।