Kerala Doctor Suicides: ডাক্তারি পড়া ছেলেটাও গাড়ি-গয়নার পণ ছাড়া সাহানাকে বিয়ে করতে চায়নি!
Kerala Woman Suicides: বোনকে বারবার বুঝিয়েও যখন কোনও লাভ হচ্ছে না, তখন জসিম রুয়াইকে বোঝাতে শুরু করেন। কিন্তু রুয়াইও যখন পণ ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হননি, তাতে খানিকটা অবাকই হয়েছিলেন জসিম।
কেরল: সবাই শুধু টাকা চায়… এক টুকরো কাগজে এইটুকু লিখেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছে ডাক্তারির ছাত্রী সাহানা। এমবিবিএস ডিগ্রি প্রাপ্ত সাহানার ইচ্ছে ছিল ভবিষ্যতে সার্জেন হবেন। পড়াশোনার মাঝেই কলেজের ছাত্র নেতা তথা ডাক্তারির ছাত্র রুয়াই-এর প্রেমে পড়ে যান তিনি। আর পাঁচটা মেয়ের মতোই একসঙ্গে সংসার করার স্বপ্নও দেখে ফেলেন। পণের চাপে বিয়ে ভেঙে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাঁর আত্মহত্যার পর জানা যাচ্ছে, প্রেমিকের পরিবার যখন পণের জন্য চাপ দিচ্ছে, তখন সেই দাবিতে অনড় ছিলেন প্রেমিকও।
একই কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করতেন রুয়াই ও সাহানা। সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সাহানার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন রুয়াই। তারপর শুরু হয় দুই পরিবারের কথাবার্তা। সাহানা দাদা জসিম জানান, পণের জন্য যে পরিবার চাপ দিচ্ছে, সেই পরিবারে বোনের দিতে চাননি তিনি। কিন্তু বিয়ে না হলে একই কর্মস্থলে গিয়ে মুখোমুখি হবেন কীভাবে, এটা ভেবেই শিউরে উঠেছিলেন সাহানা। পাত্রপক্ষের দাবি ছিল, ১৫০ খানা গয়না, একটি বিএমডব্লু ও ১৫ একর জমি। পিতৃহীন সাহানার পরিবারের পক্ষে যে দাবি মেটানো কার্যত অসম্ভব ছিল।
বোনকে বারবার বুঝিয়েও যখন কোনও লাভ হচ্ছে না, তখন জসিম রুয়াইকে বোঝাতে শুরু করেন। কিন্তু রুয়াইও যখন পণ ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হননি, তাতে খানিকটা অবাকই হয়েছিলেন জসিম। রুয়াই পাশে থাকলে হয়, সাহানাকে এভাবে চলে যেতে হত না, এমনটাই মনে করছেন তাঁর দাদা।
ডাক্তারির ছাত্রী সাহানা নিজেকে অধিক অ্যানাস্থেশিয়ার ডোজেই মেরে ফেলেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রুয়াইকে আটক করেছে পুলিশ। পণের এমন অভিযোগ সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও।