Shashi Tharoor On Congress President Election : আমিও হিন্দিতে কথা বলতে পারি’, শশীর মন্তব্যে জল্পনা
Shashi Tharoor On Congress President Election : জল্পনা শুরু হয়েছে, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন শশী থারুর। এর মধ্য়েই শশী থারুর বললেন, তিনিও হিন্দিতে কথা বলতে পারেন।
তিরুবনন্তপুরম : কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরদিনই জল্পনা শুরু হয়েছিল, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন জি-২৩ নেতা শশী থারুর। এবার সেই জল্পনার মাঝেই একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। এদিন তাঁর বক্তব্যে ইঙ্গিত মেলে যে তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যোগ্য তিনি।
শশী থারুরের ইংরেজির জ্ঞান সর্বজনবিদিত। এবার তিনি নিজেই জানালেন, ইংরেজির পাশাপাশি তিনি হিন্দিটাও জানেন। কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, কোনও হিন্দি বেল্ট থেকেই কংগ্রেস সভাপতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনা চলছে। সাংবাদিকের তরফে শশী থারুরের কাছে এই প্রশ্নটি করা হয়। তিনি সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি হিন্দিতেই উত্তর দেন। তিনি বলেন,’আমি হিন্দিতেও কথা বলতে পারি।’ তিনি আরও জানান, ‘আমার মতে একজন ভারতীয় ভারতীয়ই হয়। আজকের দিনে রাজনীতি করতে হলে আপনাকে হিন্দিতে বলতেই হবে। এখন দক্ষিণীরাও হিন্দিতে কথা বলতে পারে। আমিও হিন্দিতে কথা বলতে পারি। কিন্তু এটা কোনও বিষয় নয়। তাঁরা হিন্দি বেল্ট থেকে কাউকে সভাপতি করতে চাইলে করুক। আমি শুধু চাই নির্বাচন হোক। যদি হিন্দিতেও প্রচার চালাতে হয় তাহলে আমরা সেটাও করতে পারি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমি যতদূর জানি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই থেকে তিনজন। এটার দরকার ছিল।’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা করার পরই কেরলের একটি দৈনিকে প্রবন্ধ লেখেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। সেই প্রবন্ধে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথা লেখেন তিনি। তাঁর সেই প্রবন্ধ ঘিরেই জল্পনা শুরু হয় যে, তিনি সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এরপর সাংবাদিকদের তরফে তাঁকে খোলাখুলি প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তার পাশপাশি নিজের লেখার সব বিষয় স্বীকার করে নেন। এবার হিন্দিতে কথা বলার মন্তব্য ঘিরে তাঁর সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়ার জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।