Sukanya Mondal: দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল

Sukanya Mondal: নির্দিষ্ট সময়েই ইডি দফতরে পৌঁছে যান অনুব্রত কন্যা।

Sukanya Mondal: দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল
দিল্লিতে ইডি দফতরে সুকন্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 10:46 AM

নয়া দিল্লি: সম্ভাবনা ছিলই। দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। মুখে কালো মাস্কে ঢাকা সুকন্যা হাজিরা দিয়েছেন ইডি অফিসে। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে একটি ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে ইডি দফতরে একটি ঘরের ভিতরে রয়েছেন তিনি। প্রথমে দফতরে ঢুকে তিনি রিসেপশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ান। তারপর একটি মেশিনে সুইচ টিপলে একটি রিসিপ্ট বেরোয়। সেটা হাতে নিয়েই অপেক্ষা করেন সুকন্যা। সামনে একজন মহিলা রয়েছেন, তাঁর পরিচয় অবশ্য স্পষ্ট নয়। সঙ্গে থাকা যাবতীয় নথি নিয়েই দফতরে ঢুকেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ইডি দফতরে আনা হয়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তারও মিনিট পঞ্চাশেক আগে সায়গল হোসেনকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, তাঁদের আলাদা আলাদা রুমে বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। এরপর দুজনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। পরে এক রুমে বসিয়েও জেরা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গরু পাচার কাণ্ডে যে ইডি অফিসার বাংলায় তদন্ত করেছেন, তিনিও রয়েছেন দিল্লি সদর দফতরে। জেরার সময়ে তাঁর থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। মঙ্গলবার ওই ইডি আধইকারিক তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। জানা যাচ্ছে, ইডি-র তরফে দক্ষিণ দিল্লির এক জন নামী উকিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে। তাঁর পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও তাঁর সঙ্গে শেষ বৈঠক করেন ইডি আধিকারিকরা।

এর আগে ২৭ অক্টোবর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এর আগে আরও একবার হাজিরা এড়ান। ২৭ অক্টোবর রাতেই ইডি-র তরফে সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে এসেই হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রথম থেকেই প্রবল ছিল। কারণ তা না হলে, গ্রেফতারির সম্ভাবনাও বেশি ছিল। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। এই সব তথ্য ইডি-র হাতে তুলে দিয়েছে সিবিআই। তার ভিত্তিতে সুকন্যার মালিকানাধীন সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেডের আয়ব্যায়ের হিসাব চেয়েছে ইডি।