Supreme Court Of India: জামিনের বিরোধিতা করায় ইডিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court Of India: এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি না হয়ে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্টের জন্য এক ইডি আধিকারিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
নয়া দিল্লি: রাজ্যের একের একের পর এক বেআইনি আর্থিক লেনেদেনের ঘটনার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (Enforcement Directorate)। তদন্তে নেমে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছে। তবে এবার এক সম্পূর্ণ অন্য তদন্তে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর জামিনের বিরোধিতা করে বিপাকে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের বিরুদ্ধেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। ক্যান্সার রোগীর জামিনের মামলার বিরোধিতা করার জন্য ইডি আধিকারিককে ভর্ৎসনা করে আদালতের সময় এবং আইনি খরচ নষ্ট করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে বলেছে, “আদালতরের সময় ও অযাচিত টাকা নষ্ট করার জন্য এই ধরনেল স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা উচিত নয়।” দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। জামিনের বিরোধিতার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির ক্যান্সার রয়েছে, এবং সেই অনুযায়ী তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত।
এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি না হয়ে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্টের জন্য এক ইডি আধিকারিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ওই ইডি আধিকারিকের বেতন থেকে জরিমানার ১ লক্ষ টাকা আদায় করা হবে। ইডিকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিতে ওই জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ জরিমানার ১ লক্ষ টাকা মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথোরিটি এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা সুপ্রিম কোর্ট মিডিয়েশন অ্যান্ড কনসিলেশন প্রোজেক্ট কমিটিতে জমা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন কমল আহসান নামের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক। ২২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযুক্ত প্রয়াগরাজের ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনে ইডি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তখন থেকে জেলেই রয়েছেন অভিযুক্ত কমল। সম্প্রতি তাঁর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন দায়ের করেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে জামিন দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজের আবেদন করেছিল ইডি।