Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Notes Ban Order: নোটবন্দি মামলার সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে কেন সহমত পোষণ করলেন না বিচারপতি নাগরত্না?

বিচারপতির কথায়, "বিমুদ্রাকরণ যে মহৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেটা সন্দেহাতীত। ভাল উদ্যোগ এবং মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।"

Notes Ban Order: নোটবন্দি মামলার সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে কেন সহমত পোষণ করলেন না বিচারপতি নাগরত্না?
নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি.ভি নাগরত্নার মত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2023 | 3:09 PM

নয়া দিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর সরকারের নোটবন্দি সিদ্ধান্তে সোমবার পেল ‘সুপ্রিম সিলমোহর’। শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির মধ্যে ৪:১ মতামতে নোটবন্দি বৈধ স্বীকৃতি পেয়েছে। ওই বেঞ্চের যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের বিরুদ্ধমত পোষণ করেন, তিনি হলেন বিচারপতি বি.ভি নাগরত্না। তাঁর মতে, নোটবন্দির নির্দেশিকা ‘বেআইনি’ এবং প্রক্রিয়াটি ‘অবৈধ’। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনেপ ২৬ (বি) ধারা উল্লেখ করেই তিনি নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন মোদী সরকারের নোটবন্দির ঘটনা ‘বেআইনি’ ও ‘অবৈধ’ বলছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিচারপতি বি.ভি নাগরত্না।

নোটবন্দির যথার্থতা নিয়ে তাঁর রায়ে বিচারপতি বি.ভি নাগরত্না বলেন, “আমার মতে ৮ নভেম্বর নোটবন্দির বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া ছিল বেআইনি। কিন্তু, এখন আর ২০১৬ সালের সেই স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “নোটবন্দি ছিল ক্ষমতার প্রয়োগ, আইনের পরিপন্থী এবং সবমিলিয়ে বেআইনি।”

নোটবন্দির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি বি.ভি নাগরত্না। তাঁর মতে, যথাযথ আইন মেনে নোটবন্দি কার্যকর করা হয়নি। যদিও নোটবন্দির ‘মহৎ উদ্দেশ্য’ নিয়ে তাঁর কোনও প্রশ্ন নেই, কেবল ‘আইনত দিক থেকেই’ তিনি একথা বলছেন বলেও স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, “বিমুদ্রাকরণ যে মহৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেটা সন্দেহাতীত। ভাল উদ্যোগ এবং মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কেবল আইনি বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পরিমাপ করা হয়েছে, নোটবন্দির উদ্দেশ্য নিয়ে নয়।” তিনি উল্লেখ করেন, “এটি কালো টাকা, জঙ্গি তহবিল এবং জাল নোটচক্রকে নিশানা করেই করা হয়েছে।”

তবে নোটবন্দির বিরোধিতা করে আবেদনকারীদের যুক্তিকেও সমর্থন জানিয়েছেন বিচারপতি বি.ভি নাগরত্না। তিনি বলেন, “আরবিআই আইন অনুযায়ী কেবল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বোর্ড নোট বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করা উচিত। কিন্তু, এক্ষেত্রে গত ৭ নভেম্বর কেন্দ্র আরবিআই-কে চিঠি দিয়ে নোটবন্দি করার প্রস্তাব জানিয়েছে।” পুরোনো উদাহরণ টেনে বিচারপতি আরও জানান, কেবল এক কার্যকরী বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারত। এ প্রসঙ্গেই বিচারপতি নাগরত্না বলেন, “কেন্দ্র ও আরবিআই-এর তরফে দেওয়া নথি ও রেকর্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে, যেন এটা (নোটবন্দি) কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী হয়েছে, আরবিআই-এর স্বাধীন মত ছিল না।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে ৫৮টি পিটিশন জমা পড়েছিল। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিকল্পিত নয় এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত। যদিও এখন আর সিদ্ধান্ত বদল করা সম্ভব নয় বলে দাবি জানায় সরকার। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী জানায়, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বদল করতে হলে সময়ের পিছনে হাঁটতে হবে। গত ৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চে সেই মামলারই শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত ছিল। অবশেষে এদিন সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় এল। যদিও ৪:১ মতামতে নোটবন্দি স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘Grounds of Proportionality’-র ভিত্তিতেই নোটবন্দি বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।