Teesta Setalvad: ‘আকাশ ভেঙে পড়বে না’, সুপ্রিম নির্দেশে এক সপ্তাহের স্বস্তি তিস্তা শেতলওয়াড়ের
Teesta Setalvad interim protection: বিচারপতি ওকা জানান, মামলাটির যোগ্যতা বিচার করবে না বেঞ্চ। তবে, হাইকোর্ট যেহেতু এই আদেশ শনিবার ঘোষণা করেছে, তাই তিস্তাকে আত্মসমর্পণের জন্য আরও কিছুটা সময় দিতে পারত আদালত।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য স্বস্তি পেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়। শনিবার (১ জুলাই) রাতে তিস্তা শেতলওয়াড়কে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিল শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে গুজরাট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হল বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারী একজন মহিলা। ফলে, তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৭ ধারায় বিশেষ সুরক্ষা পেতে পারেন। তাই হাইকোর্টের আবেদনকারীকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া উচিত ছিল। ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা ষড়যন্ত্র মামলার ভুয়ো প্রমাণ সাজানো এবং মিথ্যা মামলা করে সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্তাদের ফাঁসানোর অভিযোগে গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল গুজরাট পুলিশ। শনিবার (১ জুলাই) তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে, গুজরাট হাইকোর্ট তাঁকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিস্তা।
এরপর, এদিন সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের এক বিশেষ এজলাস বসে। কিন্তু, তিস্তা শেতলওয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে একমত হতে পারেননি বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি পি কে মিশ্র। তাই, এই মামলার শুনানি এখন এক বৃহত্তর বেঞ্চে হবে। বিচারপতি ওকা বলেন, “তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দেওয়ার প্রশ্নে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তাই আমরা প্রধান বিচারপতিকে এই বিষয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য অনুরোধ করছি।”
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির শুরুতেই বিচারপতি ওকা জানান, মামলাটির যোগ্যতা বিচার করবে না বেঞ্চ। তবে, হাইকোর্ট যেহেতু এই আদেশ শনিবার ঘোষণা করেছে, তাই তিস্তাকে আত্মসমর্পণের জন্য আরও কিছুটা সময় দিতে পারত আদালত। বিচারপতি ওকা মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, “মঙ্গলবার মামলাটি তালিকাভুক্ত হতে পারে। আমরা বলতে চাইছি, আত্মসমর্পণের জন্য কিছুটা সময় দিন। মামলাটি উচ্চ আদালতের পরীক্ষা করার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে বাইরে আছেন। আত্মসমর্পণের জন্য কিছু সময় দেওয়া হলে স্বর্গ উল্টে যাবে না।”
জবাবে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “পুরো রাজ্যকে কীভাবে অপমান করা হয়েছে সেটা দেখুন। সাক্ষীদের মুখে বুলি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিনি ষড়যন্ত্র করেছেন। প্রতিষ্ঠানের বিসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ সুপ্রিম কোর্টই পেয়েছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি যা করেছেন তার জন্য, তাঁর জেলও হতে পারে। বিচারপতিরা যদি দেখেন, তাঁকে হেফাজতে নেওয়াটা ভুল হয়েছে, তাকে মুক্তিও দেওয়া যেতে পারে। এটাই আইনের শাসন।”
এরপরই এই বিষয়ে বিচারপতি পিকে মিশ্রর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বিচারপতি ওকা। এরপরই বিচারপতি ওকা জানান, তিস্তা শেতলওয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তাই এই বিষয়টি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের টেবিলে রাখার জন্য আদেশ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁকে, অবিলম্বে এই বিষয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অনুরোধ করা হচ্ছে।