Delhi Govt vs LG: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় কেজরী সরকারের, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকল রাজ্য সরকারের হাতেই
Supreme Court Verdict on Delhi govt vs Centre: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেল কেজরী সরকার। শীর্ষ আদালত আজ জানিয়েছে, দিল্লির কোনও প্রশাসনিক বিষয়ে শেষ কথা বলবে দিল্লির রাজ্য সরকার।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে কেজরীবাল সরকারের বড় জয়। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতার উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লি সরকারেরই। জমি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক কাজে শেষ কথা বলবে দিল্লি সরকার আর লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিল্লি সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। আজ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে আজ জানানো হয়, দিল্লির বিধানসভা ও নির্বাচিত সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের কোনও ক্ষমতা নেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, অন্যান্য রাজ্যের মতোই দিল্লির সরকার। আর লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিল্লি সরকারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় প্রকৃত প্রশাসনিক ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকা উচিত”।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি সরকার
ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, দিল্লির শাসন ব্যবস্থা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কেজরীবাল সরকার ও কেন্দ্রের সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই একটা টানাপোড়েন চলছিল। কেন্দ্র NCT আইন সংশোধন করার পরে AAP-এর নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করার জন্য আদালতে আবেদন করে দিল্লির সরকার। জানুয়ারিতে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি হিমা কোহলির একটি বেঞ্চ চার দিন এই মামলা শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখে। আজ সেই মামলার নিষ্পত্তি করল সুপ্রিম কোর্ট। রায় এল কেজরী সরকারের পক্ষেই।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভূষণ এই মামলার শুনানিতে রায় দিয়ে জানিয়েছিলেন, দিল্লি সরকারের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। আজ দিল্লি সরকার ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতা নিয়ে বিরোধের মামলার শুনানির শুরুতে শীর্ষ আদালত জানায়, বিচারপতি ভূষণের এই বিভক্ত রায়ের সঙ্গে একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট।
আজ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে সর্বসম্মত রায়ে জানানো হয়েছে, সমস্ত প্রশাসনিক বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লি সরকারের হাতে। আর সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে। কেজরী সরকারের হাতে কেন প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকবে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে, “জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দিল্লি বিধানসভাকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “সরকারি আধিকারিকরা যদি মন্ত্রীদের কাছে রিপোর্ট করা বন্ধ করে দেন বা তাঁদের নির্দেশ না মেনে চলেন, তবে সম্মিলিত দায়বদ্ধতার নীতি প্রভাবিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে যদি তার আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে না দেওয়া হয় এবং তাদের জবাবদিহি করতে না দেওয়া হয়, তবে বিধানসভা এবং জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা কমে যায়। যদি কোনও আধিকারিক সরকারকে জবাবদিহি না করেন, তবে সম্মিলিত দায়বদ্ধতা ক্ষুণ্ণ হয়।”