Tamil Nadu video: অধিবেশনের মাঝপথেই বিধানসভা ত্যাগ রাজ্যপালের, রাজ্যের সঙ্গে চরমে পৌঁছল বিরোধ

Tamil Nadu governor walks out of assembly: তামিলনাড়ুতে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব পৌঁছল বিধানসভায়। অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে উঠল স্লোগান, কক্ষত্যাগ করলেন তিনি।

Tamil Nadu video: অধিবেশনের মাঝপথেই বিধানসভা ত্যাগ রাজ্যপালের, রাজ্যের সঙ্গে চরমে পৌঁছল বিরোধ
রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব পৌঁছল বিধানসভায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2023 | 6:06 PM

চেন্নাই: ২০২৩ সালে তামিলনাড়ু বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ধুন্ধুমার। রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব পৌঁছল বিধানসভায়। অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় ক্ষমতাসীন দল ডিএমকে-এর জোটের শরিক কংগ্রেস, ভিসিকে, সিপিআইএম-এর মতো দলগুলি। যার জেরে এক সময় বিধানসভা ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল, বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। এদিন অধিবেশনের প্রথমদিন বলে বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল। সাধারণত এই বক্তৃতা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই তৈরি করে দেওয়া হয়। সরকারের বক্তব্যই তাঁর বক্তব্য হিসেবে পাঠ করেন রাজ্যপাল। এদিন এই রীতি ভঙ্গ করেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। সরকারের তৈরি ভাষণ থেকে বেশ কিছু অংশ তিনি বাদ দেন, বেশ কিছু অংশ নিজের ইচ্ছামতো যোগ করেন। এই নিয়েই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয় শাসক জোটের।

রাজ্যপালের ওই প্রথাভাঙা ভাষণের পরই, মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, বিধানসভার স্পিকারকে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের তৈরি করা বক্তৃতাই নথিভুক্ত করার এবং প্রথাগত ভাষণের বাইরে রাজ্যপাল যা যা বাড়তি কথা বলেছেন তা বাদ দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব দেন। তিনি সেই প্রস্তাব তোলার পরই শাসক দলের শরিক দলের বিধায়করা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তার মধ্যেই কক্ষ ত্যাগ করেন রাজ্যপাল।

ডিএমকে দলের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তৈরি করা ভাষণটির নির্বাচিত কিছু অংশ কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। এর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা ছিল। তামিলনাড়ুকে শান্তির জায়গা বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। পেরিয়ার, বিআর আম্বেদকর, কে কামরাজ, সিএন আন্নাদুরাই-দের মতো বিশিষ্ট নেতাদের কথা উল্লেখ করা ছিল। এই অংশগুলিই তাঁর বক্তব্য থেকে বাদ দেন রাজ্যপাল আরএন রবি। ডিএমকে যে ‘দ্রাবিড় মডেল’-এর কথা বলে, সেই মডেল সংক্রান্ত বক্তব্যও পড়েননি রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের এই একপেশে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, তাঁর বক্তব্য চলাকালীনই কংগ্রেস, বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচি বা ভিসিকে, এমডিএমকে এবং সিপিআইএম-সহ ডিএমকে-র জোটসঙ্গীরা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপরই কক্ষত্যাগ করেন রাজ্যপাল। যার ফলে বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময়ও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই ঘটনার জেরে এরপর এদিনের মতো বিধানসভা অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়।