AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সিঙ্গুর মামলায় বড় রায়, টাটাকে ৭৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে

Tata Nano case: এদিন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি নোট দিয়ে টাটা সংস্থা জানিয়েছে, "২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে ট্রাইবুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে।

সিঙ্গুর মামলায় বড় রায়, টাটাকে ৭৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে
ন্যানো গাড়ির কারখানা বন্ধের প্রেক্ষিতে টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে Image Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Oct 30, 2023 | 8:22 PM
Share

নয়া দিল্লি: ন্যানো মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ির কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার জেরে, টাটা মোটরস সংস্থাকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে। সোমবার (৩০ অক্টোবর), এই রায় দিল তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে। ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যই এই রয়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি নোট দিয়ে টাটা সংস্থা জানিয়েছে, “২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে ট্রাইবুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেইসঙ্গে, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ সুদ দিতে বলা হয়েছে।”

২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের জয়ের পরই, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, রতন টাটার সঙ্গে রাজ্যে একটি মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির বিষয়ে কথা হয়েছে তাঁর। এরপর, এই কারখানা তৈরির জন্য সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীকে প্রায় ১০০০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পুরোটাই প্রায় ছিল কৃষিজমি। একাংশের কৃষক রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করে জমি দিতে নারাজ ছিলেন। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকরা। সেই আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারখানার কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেলেও, ২০০৮ সালে তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়ে, পশ্চিমবঙ্গে কারখানা গড়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল টাটা গোষ্ঠী।

ক্ষমতায় আসার পর, তৃণমূল সরকার টাটা মোটরসকে কারখানা গড়ার জন্য বিকল্প জমি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ততদিনে গুজরাটের সানন্দে ন্যানো কারখানা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল টাটারা। তাই সরকারের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, বামফ্রন্ট সরকারকে জমি অধিগ্রহণের জন্য তারা ১৫৪ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই সমপরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করেছিল টাটা। ২০১৬ সালে, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের সময় জমি অধিগ্রহণ আইনের বিধানগুলি মানেনি বামফ্রন্ট সরকার। তাই ওই অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল শীর্ষ আদালত। টাটা মোটরস পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছিল, ভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে বলে কোনও সরকার একটি মামলার মাঝখানে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে না। আদালত জানিয়েছিল, অধিগ্রহণটি বেআইনি ছিল বলে, সরকার তার অবস্থান বদল করতে পারে। তখন টাটা রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়ে বিরোধ সমাধানে মধ্যস্থতাকারী প্যানেলের সহায়তা চেয়েছিল। এদিন, সেই প্যানেলই টাটাকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল।