AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বাংলাদেশের জিডিপি দেখুন, বাংলাদেশীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে না’

বিএসএফ-এর ডিজি রাকেশ আস্থানা সম্প্রতি জানান, এ বছর ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ৩,২০৪ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ধরে তাঁরা এ দেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন।

'বাংলাদেশের জিডিপি দেখুন, বাংলাদেশীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে না'
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Dec 26, 2020 | 9:18 AM
Share

গুয়াহাটি: এনআরসি একেবারেই ভারতের বিষয়। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্কই নেই। বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনওরকম অনুপ্রবেশও ঘটে না। শুক্রবার অসমের গুয়াহাটিতে সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি কর্তা শফিনুল ইসলামের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি দেখলেই বোঝা যাবে, কোনও বাংলাদেশীর ভারতে অনুপ্রবেশের প্রয়োজনই নেই।

সম্প্রতি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ-এর ডিজি রাকেশ আস্থানা জানান, এ বছর ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ৩,২০৪ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ধরে তাঁরা এ দেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তবে এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে শুধুই বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক রয়েছেন এমন নয়, বহু অপরাধী ও চোরাকারবারীও রয়েছে।

আরও পড়ুন: ২১ বছরেই রাজধানী শহরের মেয়র আর্যা! অভিজ্ঞতার ভিড়ে তারুণ্যের জয়গান সিপিএমে

শফিনুলের কথায়, “বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে আসেন ঠিকই, তবে তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র থাকে। তাঁরা বেড়াতে বা চিকিৎসার জন্য আসেন। বাংলাদেশ থেকে অসমে মানুষ ঢুকে পড়েন, এই ধারনাটা এবার বদলানো দরকার। আপনারা বাংলাদেশের জিডিপি দেখলেই বুঝতে পারবেন তা কতটা ঊর্ধ্বমুখী। তাই বাংলাদেশীদের ভারতে অনুপ্রবেশের কোনও কারণই নেই।” তবে বিজিবি কর্তার সংযোজন, “সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশের মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে। সীমান্তের এপার ওপারে অনেকেরই আত্মীয়স্বজন থাকেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উৎসবে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে দেখাও করেন। তবে এখন আমরা খুবই সতর্ক। এক্ষেত্রে সবরকম আইন মানা অত্যাবশ্যক।”

তবে গরু পাচার কিংবা অন্যান্য অপরাধমূলক কাজের ক্ষেত্র সীমান্তের ব্যবহার নিয়ে দু’দেশের মধ্য়েই উদ্বেগ রয়েছে। শফিনুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে সীমান্ত-হিংসায় তিনজন বাংলাদেশীর মৃত্য়ু হয়েছিল, ২০১৯ সালে তা বেড়ে ৩৫ হয়। চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা ৪৮ হয়েছে। আস্থানাও জানান, এ বছর সীমান্ত হিংসায় প্রাণ গিয়েছে তিনজন ভারতীয়র। আস্থানার সংযোজন, “আমরা নির্দেশ দিয়েছি (বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রে) কোনওরকম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। আমরা স্টান গ্রেনেড, পাম্প অ্যাকশন গান ব্যবহার করি…।”