Road Rage Case: ‘খুন করার উদ্দেশ্য ছিল না’, আবেদনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতকে জানালেন সিধু
Navjyot Singh Sidhu: রিভিউ পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল সিধু ওই ব্যক্তিকে খুন করেছেন। পিটিশনে জানানো হয়েছিল সিধুর বিরুদ্ধে খুনের পরিবর্তে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩২৩ ধারায় অনিচ্ছাকৃত আঘাতের মামলা দায়ের হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তাঁর দল। তিনি নিজে ভোটে হেরে গিয়েছেন। অনেকেই বলেন পঞ্জাবে কংগ্রেসের এই বিপর্যয়ের পিছনে যিনি সব থেকে বেশি দায়ী, তাঁর নাম নভজ্যোত সিং সিধু (Navjyot Singh Sidhu)। ভোটের পর সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নির্দেশের সভাপতির পদ ছাড়তে এক প্রকার বাধ্য হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় দলের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। এবার আইনি বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন সিধু। ১৯৮৭ সালে পঞ্জাবের এক পথ দুর্ঘটনায় গুরনাম সিং (1987 Road Rage Case) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৮ সালে সিধুর বিরুদ্ধে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাখিল করা রিভিউ পিটিশনের পর রায়দান স্থগিত করেছে শীর্ষ আদালত। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ মৃতের পরিবারের তরফে বিচারপতি এ.এম খানউইলকর এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কলের বেঞ্চে এই পিটিশন জমা পড়েছে।
রিভিউ পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল সিধু ওই ব্যক্তিকে খুন করেছেন। পিটিশনে জানানো হয়েছিল সিধুর বিরুদ্ধে খুনের পরিবর্তে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩২৩ ধারায় অনিচ্ছাকৃত আঘাতের মামলা দায়ের হয়েছিল। শীর্ষ আদালতে এই রিভিউ পিটিশনের পরিপ্রক্ষিতে সিধুর জবাব তলব করেছিল। গুরনাম সিংয়ের পরিবারের হয়ে সিনিয়ার আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতে ওই পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
সিধুর হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আদালতে আইনজীবী তথা কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, “এই মামালটি অন্য মামলার তুলনায় সামন্য হলেও আলাদা। প্রথমত এই মামলার ৩৪ বছর হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় এই মামলা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসার পরেও শীর্ষ আদালত সাজাদান স্থগিত রেখে শুধুমাত্র জরিমানা করেছে। সিধুর ওই ব্যক্তিকে হত্যা করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না।” আদালত দুই পক্ষের বক্তব্যই শুনেছে। আদালত পরবর্তীকালে এই মামলা নিয়ে কী পর্যবেক্ষেণ দেয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলে।