G20 Summit 2023: না এলেও জিনপিংকে তাড়া করছে তিব্বত, G20-র মধ্যেই দিল্লিতে চিন বিরোধী প্রতিবাদ

G20 Summit 2023: শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর), দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায়, তিব্বতে, চিন সরকারের অবৈধ দখলদারির প্রতিবাদ জানান দিল্লির তিব্বতি সম্প্রদায়।

G20 Summit 2023: না এলেও জিনপিংকে তাড়া করছে তিব্বত, G20-র মধ্যেই দিল্লিতে চিন বিরোধী প্রতিবাদ
নয়া দিল্লিতে চিন বিরোধী বিক্ষোভImage Credit source: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2023 | 3:05 PM

নয়া দিল্লি: চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আসছেন না নয়া দিল্লিতে। তাঁর বদলে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। এরই মধ্যে, চিন সরকারের বিরুদ্ধে নয়া দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে দিল্লির তিব্বতি সম্প্রদায়। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর), দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায়, তিব্বতে, চিন সরকারের অবৈধ দখলদারির প্রতিবাদ জানান তাঁরা। ১৯৫১ সালে সমগ্র তিব্বত দখল করেছিল চিন সরকার। ১৪তম দলাই লামা ও তাঁর অনুরাগীরা তিব্বত ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বর্তমানে, উত্তরাখণ্ডের ধর্মশালায় থাকেন দলাই লামা এবং তাঁর অনুগামীরা। তারপর থেকে, তিব্বতে চিনের দখলদারি এবং দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করে থাকে পালিয়ে আসা তিব্বতিরা।

প্রতিবাদীদের দেখা যায়, চিন বিরোধী পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে মজনু কা টিলা এলাকায় জড়ো হতে। কারও কারও মুখে বা হাতে রঙ দিয়ে লেখা ‘তিব্বতকে মুক্ত কর’। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগের দিন, দিল্লিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকায়, মজনু কা টিলা এলাকায় কড় সুরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়। উত্তর দিল্লির ডিসিপি সাগর সিং কলসি বলেছেন, “আমাদের কাছে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল তিব্বতি যুব কংগ্রেস। আমরা তাদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও, এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে আমরা বিস্তৃত সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছি।”

বৃহস্পতিবারই, তিব্বত যুব কংগ্রেসের সভাপতি গনপো ধুন্দুপ জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন। তিনি বলেন, “আমরা ভারতের জি-২০ আয়োজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি না। ভারত নয়াদিল্লিতে এই মর্যাদাপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করছে বলে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের প্রতিবাদ চিনা কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। চিন সরকার অবৈধভাবে আমাদের দেশ দখল করেছে। বর্তমানে, তিব্বতের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।” তিনি আরও জানান, এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা জি২০ দেশগুলিকে চিন সম্পর্কে সতর্ক করে দিতে চান। মনে করিয়ে দিতে চান যে, বেজিং-এর কূটনৈতিক আশ্বাস একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, চিনের বিশ্বাসযোগ্যতা যে প্রশ্নবিদ্ধ, সেটা তাঁরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে চান। ভারতের নিরাপত্তার জন্যও তিব্বতের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বেই উদ্বেগ তৈরি করেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। বেজিং-এর আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদী নীতি, গোটা বিশ্বে বিভেদ ও হিংসাকে উসকে দিচ্ছে। গোটা বিশ্বের ঐক্যবদ্ধভাবে চিনের কৈফিয়ৎ চাওয়া উচিত। গনপো ধুন্দুপ বলেন, “চিনা রাষ্ট্রপতি ভারত সফরে আসছেন না। কারণ, তাঁর কোনও স্বাধীন দেশের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই। “