Tripura: ২৩-র নির্বাচনের আগেই সক্রিয়, ত্রিপুরায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ‘বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে মেগা সমাবেশের ঘোষণা তৃণমূলের
Tripura: আগামী ১৪ নভেম্বর আগরতলায় একটি মেগা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অভিযান শুরু হবে তৃণমূলের।
আগরতলা: ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে হ্যাটট্রিকের পর জাতীয় স্তরে তৃণমূলের বিস্তারে নজর দিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই তালিকায় প্রথমেই ছিল ত্রিপুরা। তারপর গোয়া। বাঙালি অধ্যুষিত এই রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সেখানে মাটি শক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। তবে হাল ছাড়েনি। একের পর এক অভিযান চালিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার সেই অভিযানে নয়া সংযোজন মেগা ব়্যালি। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা ইউনিট জানিয়েছে, আগামী ১৪ নভেম্বর আগরতলায় একটি মেগা সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
আগরতলায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরায় তৃণমূলের জয়েন্ট ইন-চার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাটকীয়ভাবে অবনতি হয়েছে। গত আড়াই বছরে দুই হাজারের বেশি মহিলাদের সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৮১টি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। যেখানে মহিলা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে প্রশাসন নীরব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল চুপ থাকতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রধানের পদ থেকে সুবল ভৌমিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে দলের জয়েন্ট ইন-চার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। দুই জয়েন্ট ইন-চার্জই জানিয়েছে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনায় দোষীদের সাজার ঘটনা এই রাজ্যে অনেকটাই কম। এখনও পর্যন্ত মাটি শক্ত না করতে পারলেও মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজীব এদিন বলেছেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকেই ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের ঘরে গিয়ে গিয়ে প্রচার শুরু করবে তৃণমূল। তিনি জানিয়েছেন স্লোগান উঠবে, ‘এগিয়ে বাংলা, এবার এগোবে ত্রিপুরা।’ এদিকে সুস্মিতা দেব বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘ভিসন ডকুমেন্টে’ বিজেপি একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ৯০ শতাংশ প্রতিশ্রুতিই পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরার শাসক সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘গত ৯ দিনে ৪ টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রেস্তোরাঁর সামনে দু’জন যুবকের গুলি লেগেছে। এটি কি সুশাসনের নমুনা?’