Abhishek Banerjee: উপনির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় অভিষেক, ভোকাল টনিকে পারবেন কি চাঙ্গা করতে?

Abhishek Banerjee: সূত্রের খবর, আগামী ১৪ জুন এবং ১৫ জুন ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে থাকবেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনী সভার পাশাপাশি রোড শো করারও কথা রয়েছে তাঁর। ভোটের আগে কোন ভোকাল টনিক দেবেন তিনি?

Abhishek Banerjee: উপনির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় অভিষেক, ভোকাল টনিকে পারবেন কি চাঙ্গা করতে?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 6:40 PM

আগরতলা : সামনেই ত্রিপুরায় উপনির্বাচন (Tripura Bye-Election)। আগরতলা, টাউন বরদোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগর… মোট এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েঠে ২৩ জুন। প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা হবে ২৬ জুন। বিজেপি, তৃণমূল প্রতিটি শিবিরই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলেছে। আর ভোটের মুখে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের চাঙ্গা করতে আগামী সপ্তাহেই পড়শি রাজ্যে উড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সূত্রের খবর, আগামী ১৪ জুন এবং ১৫ জুন ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে থাকবেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনী সভার পাশাপাশি রোড শো করারও কথা রয়েছে তাঁর। ভোটের আগে কোন ভোকাল টনিক দেবেন তিনি? সেই দিকেই তাঁকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করার দায়িত্ব রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, নির্বাচন যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ না হয়, তাহলে তাঁরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন।

ত্রিপুরায় বিজেপি শাসিত সরকারের কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে। বিপ্লব কুমার দেবকে সরিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে মানিক সাহাকে। এদিকে ত্রিপুরায় বিজেপির উপর বহুদিন ধরেই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও ত্রিপুরায় শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টায় নেমেছিল মমতার দল। কিন্তু ভোট বাক্সে সেভাবে দাঁত ফোটানোর সুযোগ মেলেনি। তবে তারপরও ত্রিপুরায় শক্তি বাড়ানোর আশা ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবির। বার বার কলকাতা থেকে ত্রিপুুরায় উড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু এর মধ্যেও টানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন উপনির্বাচনের আগেই আবারও কোমর বাঁধছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ বাংলা ভাষাভাষি। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের বাংলা ভাষাভাষি নেতাদের জনসংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা থাকছে। সেই সবের দিক থেকে ত্রিপুরার উপনির্বাচনের আগে অভিষেকের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।