CPIM-Congress: পথে নেই হাতে আছে! কংগ্রেস নিয়ে বামেদের কৌশলী অবস্থান
Tripura Elections: কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে বামেদেরই দুই অবস্থান ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
আগরতলা: ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা ভোট ত্রিপুরায় (Tripura Elections)। বাম কংগ্রেস আসন সমঝোতা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নিয়ে এক অদ্ভুত অবস্থান দেখা যাচ্ছে সিপিএমের (CPIM)। একদিকে জোট, অন্যদিকে হাত শিবিরকে এড়িয়ে যাচ্ছে বামেরা। ত্রিপুরায় যৌথভাবে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত কংগ্রেস-বাম শিবিরের। তাদের সঙ্গে পদযাত্রায় থাকবে ত্রিপুরার পিপলস পার্টিও। অথচ, এ রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের সাগর থেকে পাহাড় জোড় কর্মসূচির সমাপ্তি পর্বে সামিল হল না বামেরা। একইভাবে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি পর্বেও থাকবেন না তারা। কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে বামেদেরই দুই অবস্থান ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রশ্ন উঠছে, ত্রিপুরায় যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোট ময়দানে নামতে পারে, তাহলে এই রাজ্যে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে কেন সামিল হচ্ছে না বামেরা? কেন শুধুমাত্র শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েই কাজ সারছেন রাজ্যের বাম নেতারা? পাশাপাশ রাহুল গান্ধীর পাশেও বিভিন্ন সময়ে থাকলেও, কাশ্মীরে যখন রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হবে, সেখানে বামেরা অংশ নিচ্ছে না। এমন দ্বৈত অবস্থানে দলের নীচুতলার কর্মীরা এবং সর্বোপরি সাধারণ ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন না তো? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঁকি মারতে শুরু করেছে।
যদি বাম নেতৃত্বের থেকে প্রকাশ্যে বারংবার বলা হয়েছে, বিজেপি বিরোধিতার সুর যেখানে যতটা বাড়ানো প্রয়োজন, ঠিক সেইভাবেই তারা এগোচ্ছেন। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে প্রয়োজন রয়েছে এবং সেই কারণেই তারা জোট করেছেন। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর কর্মসূচিতে দলীয় নেতৃত্ব সেভাবে না থাকলেও রাহুলের পাশে রয়েছেন তাঁরা। এই রাজ্যেও তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে যারা রয়েছে, তাদের পাশেও বামেরা রয়েছে। তবে সবক্ষেত্রে সব জায়গায় সশরীরে যাওয়া সম্ভব নয়। এমনই ব্যাখ্যা বাম নেতৃত্বের।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বর্তমানে বিরোধীরা কার্যত কোনঠাসা অবস্থায় পড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এমনকী বামেদের কর্মসূচিতে লোক জোগাড় করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এমন অবস্থায় বিজেপিকে ঠেকাতে গেলে ত্রিপুরার প্রধান দুই বিরোধী শক্তি বাম ও কংগ্রেসের হাত ধরাধরি করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল এবং সেই কারণেই এই আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।