‘তৃণমূলই ত্রিপুরাকে উদ্ধার করবে’, মুকুল ফিরতেই গুঞ্জন শুরু আগরতলায়
নতুন উদ্যমে তৃণমূল বিস্তার বাড়াচ্ছে ত্রিপুরায়, এমনটাই দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের।
আগরতলায়: মমতার জয় শুধু রাজ্য রাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও যে প্রভাব ফেলেছে, তা অনস্বীকার্য। বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতেও অনেকেই অন্য দল ছেড়ে তৃণমীলে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। আর মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই অক্সিজেন পেয়েছে সে রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট আশিস লাল সিং বলেন, ‘তৃণমূলই বিজেপি অপশাসনের হাত থেকে ত্রিপুরাকে রক্ষা করবে।’
আশিস লাল সিং আরও বলেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে তৃণমূল নতুন উদ্যমে বিস্তার বাড়াবে রাজ্য জুড়ে। তাঁর কথায়, ‘বিপ্লব দেবের তিন বছরের অপশাসনে মানুষ হতাশ।’ তিনি জানিয়েছেন কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে দলে দলে লোক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। বিপুল আসনে মমতার জয়ের প্ভাব পড়েছে ত্রিপুরায়।
সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষস্তরের বহু নেতাই যোগাযোগ রাখছে তৃণমূলের সঙ্গে। বিপ্লব দেবকে ক্ষমতাচ্যূত করতে বিজেপি নেতারাই নাকি দলবদলের চেষ্টা করছে বলে তৃণমূলের দাবি। বিষয়টা অবশ্য নতুন নয়। গত দু’বছর ধরেই বিপ্লব দেবের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক নেই অনেক বিজেপি নেতার। এরই মধ্যে আবার রাজ্য বিজেপির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মানিক সাহা, যা বিজেপি নেতারা ভাল চোখে দেখেননি। আর বিজেপির মধ্যে এই দ্বন্দ্বেরই সুযোগ নিতে চাইছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ‘শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি’, দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে ‘সাফাই’ দিলীপের
ত্রিপুরা বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই দ্বন্দ্ব। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আর অন্যদিকে সুদীপ রায় বর্মন। সুদীপ রায় বর্মন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা। তিনি তখন কংগ্রেসে ছিলেন। কংগ্রেস থেকে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর দেখা যায় সুদীপ রায় বর্মনরাও ভোটের মুখে বিজেপিতে ভিড় করছেন। চার বছর পর মুকুল রায় ঘরে ফিরতেই ত্রিপুরা বিজেপিতেও কম্পন ধরে গিয়েছে। কেননা সুদীপ রায় বর্মন দলবল নিয়ে যদি বিজেপি ছাড়েন তবে ২০২৩-এর ভোটে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে।