The Kerala Story: ‘আসাধারণ এবং সাহসী প্রচেষ্টা’, প্রচার শেষ হতেই সপরিবারের ‘কেরালা স্টোরি’দেখলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Pralhad Joshi watches The Kerala Story: সোমবার (৮ মে) কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রচারকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং কংগ্রেসের জাতীয় স্তরেরে নেতারা রাজ্যে ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন। একই সময়ে রাজ্যে কেরালা স্টোরি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস। প্রচার শেষ হতেই সপরিবারে সিনেমাটি দেখলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
বেঙ্গালুরু: সোমবার (৮ মে) কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রচারকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং কংগ্রেসের জাতীয় স্তরেরে নেতারা রাজ্যে ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন। প্রচার শেষে দিল্লিতে ফিরে এসেছেন। এদিকে, নির্বাচনী প্রচার পর্বে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ চলচ্চিত্র নিয়ে রাজ্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি, ছবিটিতে কিছু মিথ্যা দাবি করা হয়েছে এবং ছবিটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে পারে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতারা সকলকে ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। গেরুয়া শিবিরের মতে, এই ফিল্মে সন্ত্রাসবাদের নয়া মুখ উন্মোচিত হয়েছে। ফলে সিনেমাটি নিয়ে দুই ভিন্ন মতের টক্কর দেখা গিয়েছে কর্নাটকের প্রচার পর্বে। প্রচার শেষে একটু ফাঁকা সময় পেতেই, হুবলির এক সিনেমা হলে গিয়ে সপরিবারে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি দেখলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি দেখার পর প্রহ্লাদ জোশী টুইট করে চলচ্চিত্রটির নির্মাতাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। টুইটে প্রহ্লাদ জোশী লিখেছেন, “দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমায় একটি অ্যন্ত প্রাসঙ্গিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। ভারত বিরোধী শক্তিগুলি যে কোনও উপায়ে আমাদের দেশের সামাজিক কাঠামোর ক্ষতি করতে চাইছে। ফিল্মটির সম্পূর্ণ দলের পক্ষ থেকে আসাধারণ এবং সাহসী প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। এই কাহিনি বলার জন্য আমি ফিল্মটির পরিচালক এবং প্রযোজকদের অভিনন্দন জানাই।”
Brilliant and bold effort by the entire team of the film. I congratulate the director and producer for telling this story.#KeralaStory
— Pralhad Joshi (@JoshiPralhad) May 9, 2023
এই ফিল্মটি নিয়ে বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। একদিকে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ফিল্মটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তামিলনাড়ুতে এই বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশ না জারি করা হলেও, হল মালিকরা সিনেমাটি দেখালে হলে ভাঙচুর হতে পারে আশঙ্কায় ফিল্মটির প্রদর্শন বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশে ফিল্মটির প্রদর্শন করমুক্ত করা হয়েছে।
দ্য কেরালা স্টোরি ফিল্মে কেরলের ৩ জন মহিলার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। তাদের ধর্মান্তরিত করে সিরিয়ায় আইএসআইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর যৌনদাসী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আইএসআইএস-এর আওতায় মহিলাদের উপর কী ধরনের নির্যাতন করা হয়, তাও বিশদে দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়। ছবিতে আরও দাবি করা হয়েছে, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একইভাবে কেরলে অন্তত ৩২,০০০ মেয়ের এই করুণ পরিণতি হয়েছে। তবে, এই তথ্যের কোনও উৎস দেখাতে পারেননি নির্মাতারা।