Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Garib Rath: ‘গরিব রথ’ কি সত্যিই ‘গরিব’দের জন্য? কম ভাড়াতেও কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?

Garib Rath: ২০০৫ সালে লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই গরিব রথ ট্রেন চালু হয়েছিল। এটি রাজধানী বা শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা এসি ট্রেন।

Garib Rath: 'গরিব রথ' কি সত্যিই 'গরিব'দের জন্য? কম ভাড়াতেও কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?
গরিব রথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2023 | 7:43 AM

নয়া দিল্লি: দূরপাল্লার এসি ট্রেনের কামরায় চাপতে যা ভাড়া দিতে হয়, তা অনেক সময়েই অনেক যাত্রীর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয় না। অসুবিধা হলেও নন-এসি কামরাতেই চাপতে হয়। সেই সব মানুষের কথা ভেবেই ভারতীয় রেলের তরফে চালু করা হয়েছিল বিশেষ ট্রেন ‘গরিব রথ।’ অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ভাড়া এত বেশি, তাও ‘গরিব রথ’ নামকরণ করা হয়েছে কেন?

আসলে যদি তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, একই সুবিধা যুক্ত অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের খরচ সত্যিই অনেক কম। এক্সপ্রেস ট্রেনের থার্ড এসির সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাবে গরিব রথের ভাড়া আসলে অনেকটাই কম। এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। আবার স্লিপার ক্লাসের তুলনায় ভাড়া আড়াই গুন বেশি।

ঠিক কী কী তফাৎ আছে এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে গরিব রথের?

১. প্রতিটি কোচে বার্থের সংখ্যা অন্য ট্রেনের তুলনায় বেশি। ৭৮ টি বার্থ রয়েছে একেকটি কামরায়। কামরার পাশের দিকে অর্থাৎ সাইডে একটি মিডল বার্থ আছে, যা অন্য এক্সপ্রেস ট্রেনে ছাকে না।

২. গরিব রথে কোনও প্যান্ট্রি কার নেই। অন্য সব ট্রেনেই খাবারের জন্য প্যান্ট্রি কার থাকে।

৩. বিনামূল্যে যাত্রীদের বেড রোল দেওয়া হয় না, অর্থাৎ বালিশ বা কম্বল দেওয়া হয় না। এই বেড রোল পাওয়ার জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ২৫ টাকা করে দিতে হয়।

২০০৫ সালে লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই গরিব রথ ট্রেন চালু হয়েছিল। এটি রাজধানী বা শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা এসি ট্রেন। শুধু তাই নয়, এটি অনেক সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের ছেকেও জোরে ছোটে। বর্তমানে গরিব রথ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দৌ়ড়তে পারে, যেটা রাজধানী এক্সপ্রেসের গতির সমান। সুতরাং সমান সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই ট্রেনের ভাড়া তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কলকাতা থেকে মোট ৩ টি গরিব রথ চলে। কলকাতা থেকে পাটনা, গুয়াহাটি ও পুরী পর্যন্ত চলে গরিব রথ।