CAA: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফের সংশোধনের দাবি, বাংলার হিন্দু-মতুয়াদের হয়ে আওয়াজ তুললেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
CAA: রামদাস আঠাওয়ালের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পুনঃসংশোধনের দাবি তোলা হয়েছে। যা নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার চর্চা।
নয়া দিল্লি: কয়েকদিন আগেই বাংলায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(Citizenship Amendment Act) বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে আওয়াজ তুলে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ(Home Minister Amit Shah)। তারপর থেকেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোরদার চাপানউতর। এমতাবস্থায় এবার বাংলার হিন্দু (Hindu), মতুয়াদের(Matua) হয়ে আওয়াজ তুললেন মহারাষ্ট্রের নেতা তথা রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার (Republican Party of India ) সভাপতির এবং কেন্দ্রীয় ন্যায়বিচার দফতরের প্রতিমন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রামদাস আঠাওয়ালের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পুনঃসংশোধনের দাবি তোলা হয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে আগের নির্দেশিকা অনুসারে যে সমস্ত নথিপত্রের মধ্য দিয়ে নাগরিত্ব প্রমাণের দাবি করা হয়েছিল সেখানে রয়েছে কিছু জটিলতা। এমনকী এই ক্ষেত্রে যে সংশ্লিষ্ট তারিখের উল্লেখ আগে করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত করা হলে চাপে পড়তে পারেন বাংলার বড় অংশের হিন্দু, মতুয়া সহ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষেরা। তাই প্রথম রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার তরফে এই বিষয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার বঙ্গ শাখার সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মালিকের তরফে পাঠানো হয়েছিল এই চিঠি।
তারপর খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে নিজে চিঠি লেখে বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নজরে এনেছেন। বাংলার হিন্দু, মতুয়া, সহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি যাতে আরও সরলীকরণ করা যায়, সেই বিষয়টিতেও বিশেষ নজর দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পুরোপুরি কার্যকর না হলেও প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ বা জৈনদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে অনলাইন আবেদনের ব্যবস্থা শুরু করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু তারপরেও পাওয়া যাচ্ছে না নাগরিকত্ব। সম্প্রতি এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রায় ৮০০ জন পাকিস্তানি হিন্দু নাগরিকত্ব না পেয়ে ফের পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। যা নিয়েও জোরদার চাপানউতর শুরু হয় রাজনীতির আঙিনায়।