Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রয়াত কল্যাণ সিংয়ের নামেই নামাঙ্কিত হবে আলিগঢ় বিমানবন্দর? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী…

বিগত কয়েক মাস ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ৪ জুলাই তাঁকে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়।

প্রয়াত কল্যাণ সিংয়ের নামেই নামাঙ্কিত হবে আলিগঢ় বিমানবন্দর? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী...
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 10:45 AM

লখনউ: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের প্রয়াণে শোকে মূহ্যমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রবিবারই তারা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা কল্যাণ সিংকে শেষ শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। এরই মাঝে জল্পনা শুরু হল আলিগঢ় বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা ঘিরে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথাতেও ইঙ্গিত মিলেছে নাম পরিবর্তনের।

রবিবার আলিগঢ়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আজ আমরা কল্যাণ সিং জীর দেহ মহারাণী অখ্যলাবাই হোলকার স্টেডিয়ামে নিয়ে আসলাম। সমর্থক তথা রাজ্যবাসী যাতে শেষবারের মতো দেখতে পান, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।আলিগঢ়ের মানুষদের সঙ্গে দার্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি। কল্যাণ সিং জী রামভক্ত হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে আলিগঢ়, উত্তর প্রদেশের সমস্ত মানুষের মনেই ওনার জন্য বিপুল শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি শ্রীরামের কাছে  প্রার্থনা করি, কল্যাণ সিং জীর স্বপ্ন পূরণের জন্য যেন আমাদের শক্তি দেওয়া হয়।”

আলিগঢ় বিমানবন্দরের নাম বদলে কল্যাণ সিংজীর নামে নামাঙ্কিত করা হবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা শীঘ্রই ক্যাবিনেট বৈঠক করব এবং এই বিষয়ে আলোচনা করব।” সম্প্রতিই আলিগঢ় গ্রাম পঞ্চায়েত বৈঠকে আলিগঢ়ের নাম পরিবর্তন করে হরিগঢ় করার প্রস্তাব পাশ করানো হয়। সেই সময়ই আলিগঢ় বিমানবন্দরের নামও বদলে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের নামে নামাঙ্কিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শনিবার কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যুর পর ফের সেই দাবিই তুলেছেন বিজেপি নেতারা।

মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কল্য়াণ সিং রাজ্যে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন, তার প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “১৯৯২ সালে কল্য়াণ সিংজীর ইস্তফা দেওয়ার আগেই তিনি রাজ্যের দরিদ্র ও নীচু শ্রেণীর মানুষদের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। তিনি নির্দিষ্ট কোনও জনগোষ্ঠীর নেতা ছিলেন না, বরং সাধারণ মানুষের মঙ্গলকামনায় কাজ করতেন। তিনি পণ্ডিত দীনদয়াল উপ্যাধ্যায়ের শিক্ষা ও আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি একজন সত্যিকারের আরএসএসের নেতা ছিলেন।”

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর কর্ণিসেনা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নৈতিকতার খাতিরে মুখ্য়মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ সিং। বিগত কয়েক মাস ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ৪ জুলাই তাঁকে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে যোগী আদিত্যনাথ সকলেই দেখা করতে যান। শুক্রবারও যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে দেখতে যান। আরও পড়ুন: একজোট নীতীশ-তেজস্বী, জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে মোদীর দরবারে ১০ বিরোধী দল