গ্রীনহাউস নিঃসরণ ৫০% হ্রাসে ব্রতী বাইডেন, সাহসী পদক্ষেপের বার্তা নমোর
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডাকা বৈঠকে স্বামী বিবেকানন্দকে উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সবুজ পৃথিবীর লক্ষ্যে তাঁর বার্তা, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত না থেমো না।
দেশ: আগামী এক দশকের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ গ্রীন হাউস গ্যাসের প্রভাব কমাতে উদ্যোগ নেবে আমেরিকা। বিশ্ব বসুন্ধরা দিবসে তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অঙ্গীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। জানালেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ গ্রীন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন তিনি। অন্যদিকে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)-র জানালেন, উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারত জলবায়ু রক্ষার লক্ষ্যে বহু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী দিনেও নেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলবায়ু বিষয়ক রাষ্ট্রনেতা সম্মেলনে অংশ নেন। জলবায়ু ছাড়াও অর্থনীতি বিষয়ক সম্মেলনে প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে উৎপন্ন শক্তি নিয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু রক্ষায় সৌর শক্তির ব্যাপক প্রচলনে আন্তর্জাতিকভাবে সঙ্গ দিয়েছে। সুসংহত উন্নয়ন (sustainable development)-এর জন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে ভারত। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিরূপ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীজীবন। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ করা আশু প্রয়োজন।
ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা এবং সবুজায়নের লক্ষ্যে আমি ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে এক লক্ষ্য নিয়েছি।” তিনি মনে করিয়ে দেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন দূষণের তুলনায় ভারতে ৫০ শতাংশ কম হয় কার্বন দহন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডাকা বৈঠকে স্বামী বিবেকানন্দকে উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। সবুজ পৃথিবীর লক্ষ্যে তাঁর বার্তা, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত না থেমো না।
আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপেই বেজিংকে নিশানা বাইডেনের
২২ এবং ২৩ এপ্রিল দুদিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মের্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন প্রমুখ রাষ্ট্রনেতারা। রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের আগে রাষ্ট্রনেতাদের এই সম্মেলন খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্বন দূষণ কমানোর অঙ্গীকার নিয়েছে। যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তির একটি অন্যতম পদক্ষেপ।