Uttarkashi Tunnel Collapse: ব্লু-প্রিন্টেই শুধু আঁকা ‘এসকেপ রুট’! বাস্তবে থাকলে কি এমন হত উত্তরকাশীতে?

Escape Route: স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, ৩ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গে এসকেপ রুট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনও বিপদের কথা মাথায় রেখেই এসকেপ রুট তৈরি করা হয়। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলকায়রা সুড়ঙ্গেও এসকেপ রুটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

Uttarkashi Tunnel Collapse: ব্লু-প্রিন্টেই শুধু আঁকা 'এসকেপ রুট'! বাস্তবে থাকলে কি এমন হত উত্তরকাশীতে?
ব্লুপ্রিন্টেই শুধু আঁকা এসকেপ রুট।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2023 | 7:49 AM

দেহরাদুন: ১৬০ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে, উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে এখনও আটকে ৪০ শ্রমিক। এক সপ্তাহ ধরে সুড়ঙ্গের ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা, যারা ওই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করছিলেন। ধীরে ধীরে নিভে আসছে আশার আলো। একের পর এক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে উদ্ধারকাজে। এরই মধ্যে হাতে এল একটি ম্যাপ, যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে গোড়াতেই গলদ ছিল। এবং এর জন্য দায়ী সুড়ঙ্গ তৈরির দায়িত্বে থাকা নির্মাণ সংস্থা। জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে বিপর্যয় নামার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই একটি এসকেপ রুট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা পরিকল্পনাতেই রয়ে গিয়েছিল, বাস্তবে তার রূপায়ন হয়নি। সেই কারণেই এক সপ্তাহ ধরে সুড়ঙ্গেই আটকে রয়েছেন নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকরা।

জানা গিয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, ৩ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গে এসকেপ রুট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনও বিপদের কথা মাথায় রেখেই এসকেপ রুট তৈরি করা হয়। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলকায়রা সুড়ঙ্গেও এসকেপ রুটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সাত দিন কেটে গেলেও এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি আটকে পড়া শ্রমিকদের। ধ্বংসস্তূপ ভেদ করে গর্ত খোঁড়ার জন্য দিল্লি থেকে আনা হয়েছিল অগার মেশিন। কিন্তু খনন চলাকালীন মাটি ধসে পড়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত হয়ে যায়। এই খনন সফল না হওয়ায়, এবার উলম্ব বা উপর থেকে খনন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

এদিকে, উদ্ধারকাজে বাধা পড়তেই উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। ধীরে ধীরে তারাও আশা হারিয়ে ফেলছেন। চিকিৎসকরাও উদ্বিগ্ন আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। খাবার, জলের পাশাপাশি তাদের অ্যান্টি-ডিপ্রেশন পিলও দেওয়া হচ্ছে।