Tripura: রাজনৈতিক উত্তাপের আবহে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু

Tripura, উপরাষ্ট্রপতির ত্রিপুরা সফর ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তার বিষয়টিও তদারকি করছেন ত্রিপুরা সরকার। ২০১৮ সালে উত্তর পূর্বের এই ছোট রাজ্যটিতে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসার পর এটি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর দ্বিতীয় ত্রিপুরা সফর

Tripura: রাজনৈতিক উত্তাপের আবহে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 7:26 PM

আগরতলা: রাজনৈতিক সংঘাতের আবহে ত্রিপুরা (Tripura) যাচ্ছেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu)।সূত্রের খবর আগামী ৬ তারিখে আগরতলা (Agartala) পৌঁছবেন উপরাষ্ট্রপতি। ত্রিপুরা প্রশাসন সূত্রে খবর বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করার জন্যই সেখানে যাবেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি। ত্রিপুরা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের মতে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে স্বাগত জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

উপরাষ্ট্রপতির ত্রিপুরা সফর ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তার বিষয়টিও তদারকি করছেন ত্রিপুরা সরকার। ২০১৮ সালে উত্তর পূর্বের এই ছোট রাজ্যটিতে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসার পর এটি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর দ্বিতীয় ত্রিপুরা সফর। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাপের আবহে উপরাষ্ট্রপতির সফরে আইন শৃঙ্খলার কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না ত্রিপুরা সরকার।

২০১৮ সালের দীর্ঘ দিনের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। সরকারের আসার পর থেকেই বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত নির্বাচন, রাজ্য জুড়ে লেনিন সহ বিভিন্ন মূর্তি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) নানা মন্তব্যে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয় ত্রিপুরা। শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল সিপিএম বারবার গনতন্ত্রের ওপর আঘাত হানার অভিযোগে সরব হয়েছিল।

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচনে মোদী – শাহের ২০০ আসন জেতার স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদ নিজেদের দখলের রাখতে সক্ষম হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ভোটে জিতেই, দিল্লি দখলের ডাক দিয়েছিলেন মমতা। দলকে অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য, ঠারে ঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই মতো সাংগঠনিক রদবদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee), তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করেন মমতা।

দলের ঘোষিত নম্বর দুই হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলার পড়শি ওপর এক বাঙালি রাজ্য, ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেন অভিষেক। বাংলা থেকে তৃণমূলের নানা নেতা মন্ত্রীদের আনাগোনা শুরু হয় ত্রিপুরাতে। একের একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে থাকে তৃণমূল। এই নিয়ে বারবার সেই রাজ্যের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল। বেশ কয়েকবার ত্রিপুরা সফরে এসেছেন অভিষেক নিজেও। আক্রমণের মুখের পড়ে তাঁর কনভয়। এই আক্রমণ নিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিল তৃণমূল, অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি।

বিজেপি তৃণমূলের এই রাজনৈতিক সংঘাতের ক্রমশই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ত্রিপুরা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয়ভাবে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল ত্রিপুরায় মিছিল করতে চাইলেও, বারবার আবেদন করেও প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। জল গড়িয়েছে কোর্টে। আজ ভবানীপুরের নির্বাচনী (Bhawanipur Bye election) প্রচারের এক সভা থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের মিছিলের অনুমতি না মেলাকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ৬০ আসনের এই রাজ্য ঘিরে বিজেপি তৃণমূলের চাপান উতোর জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। সংঘাতের এই আবহে উপরাষ্ট্রপতির ত্রিপুরা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন Afghanistan Issue: রাষ্ট্রপুঞ্জে নিজস্ব প্রতিনিধি চায় তালিবান!