Afghanistan Issue: রাষ্ট্রপুঞ্জে নিজস্ব প্রতিনিধি চায় তালিবান!

Afghanistan আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হাতে মায়ানমার মডেল কার্যকর করার উপায়ও খোলা রয়েছে, আরও একটি জটিল বিকল্প রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে রয়েছে

Afghanistan Issue: রাষ্ট্রপুঞ্জে নিজস্ব প্রতিনিধি চায় তালিবান!
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 5:51 PM

নয়া দিল্লি: গত মাসের ১৫ অগষ্ট আফগানিস্তানের (Afghanistan) মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছে তালিবানরা (Taliban)। ইতিমধ্যেই দেশের যাবতীয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে তালিবান পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু নব নির্মিত সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও অধরাই থেকে গিয়েছে। এবার স্বীকৃতির লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নামার প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে তালিব যোদ্ধারা।

আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি ক্ষমতায় থাকা আগের তালিবান সরকারের তুলনায়, সবে দায়িত্ব নেওয়া এই নতুন তালিবান সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলেই মনে করা হচ্ছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এই দেশটির যাবতীয় খবরাখবরের ওপর প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছে সমগ্র পৃথিবী। দোহাতে (Doha) মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালিবান নেতাদের বৈঠকে পর, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আরও প্রাসঙ্গিক আফগানিস্তান। বিভিন্ন দেশ কূটনৈতিক কারণে তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছে। এমনকি তালিবানি কার্যকলাপের প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত ভারতও (India), তালিবানের সঙ্গে এক টেবিলে আলোচনায় বসার জন্য দোহাতে এক কূটনীতিককে পাঠিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তালিবানরা কোনও স্থায়ী প্রতিনিধি চাইলে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

এই দাবি আরও জোরালো হয়েছে যখন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের (United Nations General Assembly) সভায় যখন বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানের প্রতিনিধির বিষয়টি নিয়ে ক্রেডেন্সিয়াল কমিটি অনুসন্ধান করছেন। চিন (China), আমেরিকা (USA), রাশিয়া (Russia), মেক্সিকোর (Mexico) মত ৯ টি দেশ এই কমিটির সদস্য।

একান্তই যদি আফগানিস্তানের প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে মতভেদ থাকে, তবে সেক্ষেত্রে সত্তরের দশকে কাম্পুচিয়ার (Kampuchia) মতো আসনটি খালি রাখার পথে হাঁটতে পারে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হাতে মায়ানমার (Mayanmar) মডেল কার্যকর করার উপায়ও খোলা রয়েছে। অং সান সুচি সেই দেশের প্রতিনিধি ছিলেন, কিন্তু অপর আরেকজন প্রতিনিধি নিযুক্ত করে সেই দেশের সেনা। কিন্তু ওই দুই প্রতিনিধির একজনকেও কোনও সভা বা অনুষ্ঠানে বলতে দেওয়া হয়না।

আরও একটি জটিল বিকল্প রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য ১৯০ টি সদস্য দেশের ভোটাভুটির মাধ্যমে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্তের পক্ষে বেশি ভোট পড়বে সেই সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হবে। তবে এই ভোটাভুটির প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই পথে হাঁটার বিশেষ পক্ষপাতী নয় জাতিসংঘ।

এমনিতেই ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঘরে বাইরে চাপের মুখে তালিবান সরকার। ইতিমধ্যেই সরকারে আসার পর আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আইএস জঙ্গিরা (ISIS-K)। তার মধ্যে ব্যাপক আর্থিক অনটনের মুখোমুখি ওই দেশের নতুন সরকার। আমেরিকার চাপের কাছে আফগানিস্তানের জন্য বরাদ্দ যাবতীয় অর্থ দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক অথনৈতিক সংগঠন গুলি। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সামাল দেয় তালিবান এটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন মরুশহরে জয়ের হ্যাটট্রিকের সামনে শাহরুখের দল

আরও পড়ুন Manmohan Singh: ৮৯ তে পা দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, তাঁর জন্মদিনে ফিরে দেখা কিছু মুহূর্ত