Video: চেয়ার ছাড়বেন না প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! স্কুলের কর্মীরা যা করলেন, ভিডিয়ো ভাইরাল!
UP Principal Forcibly Removed From Office: চেয়ার ছাড়তে নারাজ প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ। কিন্তু তিনি চেয়ার ছাড়তে নারাজ। শেষে তাঁকে জোর করে তুললেন স্কুলের কর্মীরা। তাঁর বদলে চেয়ারে বসলেন নতুন অধ্যক্ষ। উত্তর প্রদেশের এক বালিকা বিদ্যালয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল।
প্রয়াগরাজ: স্কুলের অধ্যক্ষের ঘরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হানা দিল স্কুলের একদল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী। নেতৃত্বে খোদ স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান। কার্যালয়ে ঢুকেই তারা অবিলম্বে চেয়ার খালি করতে বলল অধ্যক্ষকে। অধ্যক্ষ রাজি না হতেই, তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হল চেয়ার শুদ্ধই। কেড়ে নেওয়া হল তাঁর ফোনও। প্রায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম দেখে অবশেষে উঠলেন অধ্যক্ষ। তার জায়গায় বসলেন নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ। উপস্থিতদের সকলে করতালি দিয়ে স্বাগত জানালেন তাঁকে, চেয়ারাচ্যুত অধ্যক্ষের সামনেই। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই নাটকীয় দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। প্রয়াগরাজের বিশপ জনসন গার্লস স্কুলে ঘটেছে এই অদ্ভূত ঘটনা। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রেও রয়েছে এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাহিনি। জড়িয়ে আছে বহু কোটি টাকার কেলেঙ্কারি।
বিশপ জনসন গার্লস স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান হলেন লখনউ ডায়োসিসের প্রতিনিধি, বিশপ মরিস এডগার ড্যান। তাঁর অভিযোগ, গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের স্কুলে ইউপিপিএসসি রিভিউ অফিসার-অ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউ অফিসারের পরীক্ষা ছিল। বহু-কোটি টাকার বিনিময়ে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। বিশপ জনসন গার্লস স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই মোবাইল ফোনে ছবি তুলে, পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ছটায় ওই প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছিল। বিশপ ড্যান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স যে দশজনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে বিনিত যশবন্ত নামে তাঁদের স্কুলের এক কর্মীও। অধ্যক্ষ পারুল সলোমনও যে এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাও জানা গিয়েছে। আর এরপরই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
How Bishop Johnson Girls School in Prayagraj school decided to replace its old principal with the new one. pic.twitter.com/Fmu4Vhm0bL
— Sneha Mordani (@snehamordani) July 5, 2024
তাঁর বদলে শার্লি ম্যাসিকে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তবে, শার্লি ম্যাসি যেদিন দায়িত্ব নিতে আসেন, সেই সময়, ভিতর থেকে অধ্যক্ষের ঘর বন্ধ করে দিয়েছিলেন পারুল সলোমন। জোর করে দরজা খোলা হলেও অধ্যক্ষের চেয়ার ছাড়তে চাননি পারুল সলোমন। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিশপ-সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি, তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। পারুল সলোমনকে বলতে শোনা যায়, “আমায় ছোঁবেন না। স্পর্শ করবেন না।” পরের দিকে, এক মহিলা শিক্ষিকাকে দেখা যায়, পারুল সলোমনের ফোন কেড়ে নিতে। তারপর বেশ কয়েকজনকে দেখা যায়, তাঁর সামনে থাকা একটি টেবিল সরিয়ে দিতে। এরপর, পুরোনো অধ্যক্ষকে চেয়ার শুদ্ধই ধাক্কা মেরে বাইরে নিয়ে যেতে শুরু করেন। অবশেষে চেয়ার ছাড়েন তিনি। তাঁর জায়গায় চেয়ারে বসেন নতুন অধ্যক্ষ, শার্লি ম্যাসি।
এদিকে, এই ঘটনার পর পারুল সলোমন ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। তবে, বিশপের দাবি, পারুল সলোমনকে কেউ স্পর্শ পর্যন্ত করেনি। এই বিষয়ে তাঁদের কাছে ভিডিয়ো প্রমাণও আছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। বিশপের আরও অভিযোগ, অধ্যক্ষ থাকাকালীন স্কুলের তহবিল থেকে ২.৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন পারুল সলোমন।