Waqf Amendment Bill: ‘মসজিদ-কবরস্থানেও হাত দেবে সরকার?’, ওয়াকফ আইনে কী বলা আছে, বোঝালেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী
Waqf Amendment Bill: রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন যে এই সংশোধনী বিলে মুসলিম মহিলা, বিধবা মহিলারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পিছিয়ে পড়া, তাদের উন্নতির জন্যই এই আইন আনা হয়েছে।

নয়া দিল্লি: উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন আলোচনার পর সংসদের দুই কক্ষ, লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে। এই আইন নিয়ে এখনও বহু মানুষের মনে সংশয় রয়েছে। প্রশ্নও রয়েছে প্রচুর। এই সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ। তাঁর দাবি, এই সংশোধনী আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারা উপকৃত হবেন। ওয়াকফ আইনে স্বচ্ছতা আসবে বলেও জানান তিনি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াকফ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ওয়াকফ আইনে বদল হলে কি মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান অর্থাৎ মসজিদ বা কবরস্থান অধিগ্রহণ করবে সরকার? এই প্রশ্নের উত্তরে রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, “কোনও মসজিদ বা কবরস্থান স্পর্শও করা হবে না। এই ইস্যু খুব সহজ ও সাধারণ। ওয়াকফ যিনি তৈরি করেছিলেন, তিনি অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করেছিলেন। ওয়াকিফ (যিনি ওয়াকফ তৈরি করেছেন)-র উদ্দেশ্য মুত্তাওয়ালি (যিনি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন) পূরণ করছেন কি না, তা দেখাই কাজ। মুত্তাওয়ালি হলেন ম্যানেজার বা সুপারিনটেন্ডেন্ট। তাঁর কোনও অধিকার নেই সম্পত্তির উপরে। কারণ এই সব সম্পত্তিই আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা।”
তিনি আরও জানান যে এই সংশোধনী বিলে মুসলিম মহিলা, বিধবা মহিলারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পিছিয়ে পড়া, তাদের উন্নতির জন্যই এই আইন আনা হয়েছে।
বিজেপি নেতা জানান, বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সবথেকে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, সেই ওয়াকফ জমির মধ্যে কতগুলিতে হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। বলেন, “যে ব্যক্তি ওয়াকফকে সম্পত্তি দান করেছেন, তার আকাক্ষ্মা অনুযায়ী কি সম্পত্তির দেখভাল হচ্ছে নাকি ম্যানেজার শুধু নিজের পকেট ভরছেন? এটাই হল প্রশ্ন। এটা নিয়েই নাটক তৈরি করা হচ্ছে। আমি বলে রাখি, আমার রাজ্যের এবং গোটা দেশের মানুষই এই বিলের প্রশংসা করছেন। সম্পত্তির অপব্যবহার নিয়ে জানতে পেরে সাধারণ মানুষ খুবই মনোক্ষুণ্ণ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “এবার পুরো বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা হচ্ছেে। প্রতিটি সম্পত্তির হিসাব থাকবে। প্রত্যেকটি তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে। আপনারা দেখতে পারবেন যে কোন সম্পত্তি কোথায় আছে, তার মুত্তাওয়ালি কে।”





