PM Modi-Muhammad Yunus: কলকাতা দখলের হুমকি! সম্পর্ক খারাপ করার মতো মন্তব্য করলে কী হবে, ইউনূসকে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
PM Modi-Muhammad Yunus Meeting: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন, আগামিদিনে ভারত এমন এক গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল বাংলাদেশকে দেখতে চায়, যেখানে নির্বাচনের ভূমিকা রয়েছে।

ঢাকা: হাসিনার জমানা ছিল এক রকম, মহম্মদ ইউনূসের জমানায় বাংলাদেশ আরেক রকমের। ওপার বাংলা থেকে লাগাতার আসছে উসকানি। কখনও কলকাতা দখল, কখনও আবার সেভেন সিস্টার্স দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মৌলবাদীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও উত্তর-পূর্ব ভারতকে ‘বদ্ধ এলাকা’ এবং নিজেদের ‘সমুদ্রের অভিভাবক’ বলে দাবি করেছিলেন। এই ধরনের মন্তব্য করলে ভবিষ্যতে সম্পর্কের যে আরও অবনতি হবে, তা ইউনূসকে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিমসটেক বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। গতকাল, শুক্রবার তারা মুখোমুখি আলোচনায় বসেন। বাংলাদেশে সরকার বদলের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদী-ইউনূস মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। আর সেখানেই মহম্মদ ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন যে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক খারাপ হয়, এমন মন্তব্য করা থেকে পরিহার করা উচিত।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন, আগামিদিনে ভারত এমন এক গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল বাংলাদেশকে দেখতে চায়, যেখানে নির্বাচনের ভূমিকা রয়েছে।
মোদী-ইউনূস বৈঠকের পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদী মহম্মদ ইউনূসকে বলেছেন যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হয়েছে, বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে সীমান্ত ইস্যুও। বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকেই সীমান্তে অনুপ্রবেশ বেড়েছে ব্যাপক হারে। সেই কথা স্মরণ করিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদী সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখা, আইনের কঠোর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন। গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন মোদী। ইউনূসকে তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের উপরে হওয়া সমস্ত অত্যাচার, নৃশংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে বাংলাদেশ, এমনটাই আশা রাখেন।
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের পর্যালোচনা এবং দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন বিক্রম মিশ্রি।





