Sudha Yadav: তাঁর মধ্যেই সুষমা স্বরাজকে খুঁজছে বিজেপি, কে এই সুধা যাদব? জানেন তাঁর জীবনে মোদীর কী ভূমিকা?

Who is Sudha Yadav: বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে সুষমা স্বরাজের স্থলাভিষিক্ত হলেন সুধা যাদব, কে তিনি? কীভাবে রাজনীতিতে এসেছিলেন এই শহিদের স্ত্রী?

Sudha Yadav: তাঁর মধ্যেই সুষমা স্বরাজকে খুঁজছে বিজেপি, কে এই সুধা যাদব? জানেন তাঁর জীবনে মোদীর কী ভূমিকা?
সুষমা স্বরাজের স্থলাভিষিক্ত স্মৃতি ইরানি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2022 | 12:06 AM

নয়া দিল্লি: বুধবার (১৭ অগস্ট) ১১ সদস্যের একটি নতুন সংসদীয় বোর্ড গঠন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এই বোর্ডে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মতো পরিচিত মুখকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জায়গায় এই বোর্ডে স্থান পেয়েছেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। তাঁদের মধ্যে একটি নাম সকলের নজর কেড়েছে, সুধা যাদব। এর আগে বিজেপি সংসদীয় বোর্ডে একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাই অনেকেই বলছেন, সুষমা স্বরাজের স্থলাভিষিক্ত হলেন সুধা যাদব। অথচ, মোদী মন্ত্রিসভায় নির্মলা সীতারমণ এবং স্মৃতি ইরানির মতো দুজন শক্তিশালী মহিলা মুখ ছিলেন। তারপরও, দল ভরসা রেখেছে সুধা যাদবের উপরই। কে তিনি? আসুন চিনে নেওয়া যাক –

প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর পর থেকে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে কোনও মহিলা সদস্য ছিলেন না। বুধবার, জায়গা করে নিয়েছেন সুধা যাদব। দুই সন্তানের জননী সুধা হরিয়ানার রেওয়াড়ির বাসিন্দা এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সম্পাদক। তবে, ১৯৯৯ সলের আগে তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। সুধা যাদবের স্বামী, সুখবীর সিং যাদব ছিলেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের একজন ডেপুটি কমান্ড্যান্ট। কার্গিলে যুদ্ধের সময় সীমান্তে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে তিনি শহিদ হয়েছিলেন। স্বামী শহিদ হওয়ার পরই সুধা যাদব রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। শোনা যায়, নরেন্দ্র ভাই মোদীর অনুরোধেই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। এর আগে একসময় সুধা জানিয়েছিলেন, ১৯৯৯ সালে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের জন্য ১১ কোটি টাকা দান করেছিলেন মোদী।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে সুধা যাদব

১৯৯৯ সালে মহেন্দ্রগড় লোকসভা আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। দাপুটে কংগ্রেস নেতা রাও ইন্দ্রজিৎ সিংকে পরাজিত করেছিলেন সুধা যাদব। তবে, তাঁর এর পরের নির্বাচনী রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। ২০০৪ সালেও তাঁকে মহেন্দ্রগড় থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন গুরগাঁও কেন্দ্র থেকে। সেইবারও নির্বাচনে পরাজয়ই হয়েছিল সুধা যাদবের। তারপর থেকে আর নির্বাচনে লড়েননি বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। ২০১৫ সালে, তাঁকে বিজেপির ওবিসি মোর্চার ইনচার্জ করা হয়েছিল। ২০১৯ সাল থেকে, তিনি অনগ্রসর শ্রেণীর জাতীয় কমিশনের সদস্য।

সুধা যাদবের হয়ে ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী

তাঁর মধ্য়েই সুষমা স্বরাজের খোঁজ করছে বিজেপি। উচ্চশিক্ষিত সুধা, ১৯৮৭ সালে রুরকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পিএইচডি করেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে আইআইটি রুরকি নামে পরিচিত। বর্তমানে সুধা একটি কলেজে লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত। তবে, বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর সেই কাজে কতটা সময় দিতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আসলে তাঁর কাহিনি হল, এক সাধারণ মহিলার সফল রাজনীতিক হয়ে ওঠার কাহিনি।

দলের সংসদীয় বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুধা যাদব। ৫৭ বছরের সুধা জানিয়েছেন, গত দুই দশক ধরে তিনি পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে দলের কাজ করছেন। শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করবেন। সুধা যাদব ছাড়া বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, জেপি নাড্ডা, নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, বিএস ইয়েদুরাপ্পা, সর্বানন্দ সোনওয়াল, কে লক্ষ্মণ, ইকবাল সিং লালপুরা, সত্যনারায়ণ জটিয়া এবং বিএল সন্তোষ।