Supreme Court: প্রেসক্রিপশনে ‘ডোলো-৬৫০’ ওষুধ লেখা থাকবেই, ডাক্তাররা যে পেয়েছেন ১০০০ কোটি টাকার উপহার!

Supreme Court - চিকিৎসকদের বিভিন্ন উপহার দিয়ে তাদের তৈরি ওষুধ দিতে উৎসাহিত করে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা। একে অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা বলে উল্লেখ করে

Supreme Court: প্রেসক্রিপশনে 'ডোলো-৬৫০' ওষুধ লেখা থাকবেই, ডাক্তাররা যে পেয়েছেন ১০০০ কোটি টাকার উপহার!
ডাক্তাররা যাতে জ্বরের জন্য এই ওষুধটিই লেখেন, তা নিশ্চিত করতে ডোলো-৬৫০'র নির্মাতারা ডাক্তারদের বিনামূল্যে বিভিন্ন উপহার দেওয়ার পিছনে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 11:00 PM

নয়া দিল্লি: ডাক্তাররা যাতে প্রেসক্রিপশনে তাদের তৈরি ওষুধের নামই লেখেন, তার জন্য ডাক্তারদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে থাকে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এর জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির জবাবদিহি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ‘ফেডারেশন অব মেডিকেল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’। বৃহস্পতিবার (১৮ অগস্ট) এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে। বেঞ্চ এই সমস্যাকে অত্যন্ত ‘গুরুতর বিষয়’ বলে উল্লেখ করে এই বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে।

ডাক্তারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থআগুলি কীভাবে প্রভাবিত করে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে ‘ফেডারেশন অব মেডিকেল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছে ডোলো-৬৫০ (Dolo-650) নামে এক জ্বরের ট্যাবলেটের কথা। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা যাতে জ্বরের জন্য এই ওষুধটিই লেখেন, তা নিশ্চিত করতে ডোলো-৬৫০’র নির্মাতারা ডাক্তারদের বিনামূল্যে বিভিন্ন উপহার দেওয়ার পিছনে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে! বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়ার সময় বলেন, “এটা শুনতে একেবারেই ভাল লাগছে না। এমনকি আমার যখন কোভিড হয়েছিল তখন আমাকেও একই ওষুধ খেতে বলা হয়েছিল। এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়।

ফেডারেশনের পক্ষে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ। তিনি বলেন, “ডোলো সংস্থা ওষুধটির প্রচারের জন্য ডাক্তারদের বিনামূল্যের সুযোগ-সুবিধা দিতে ১০০০ কোটির বেশি বিনিয়োগ করেছে।” তিনি আরও জানান, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা ‘সিবিডিটি’, ৯টি রাজ্য জুড়ে থাকা বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেডের ৩৬টি প্রাঙ্গনে অভিযান চালিয়ে এই অভিযোগ করেছে। নির্মাতার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ করেছে সিবিডিটি। তাদের দাবি, ডোলো ৩০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে।

আবেদনকারী পক্ষ আরও দাবি করেছে, এই ধরনের অনৈতিক কাজের ফলে গ্রাহকরা অত্যাধিক ওষুধ ব্যবহার করার শিকার হন। শুধু তাই নয়, এর ফলে রোগীর স্বাস্থ্যও বিপন্ন হতে পারে। এ ধরনের দুর্নীতি উচ্চমূল্যের বা অযৌক্তিক ওষুধকেও বাজারে ঠেলে দেয়। আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে, নিয়মের শিথিলতার কারণে, কোভিড মহামারি চলাকালীন ফার্মা সংস্থাগুলির এই ধরনের অনৈতিক অনুশীলনগুলি বিকশিত হয়েছে। শীর্ষ আদালতের কাছে ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং অনুশীলনের বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপনের আবেদন করা হয়েছে। যারা পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রদান করবে এবং এর জন্য ‘ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং ইউনিফর্ম কোড’ কার্যকর করা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।