ছেলেদের আতঙ্ক ‘নীল ড্রাম’! বউ কুচিকুচি করবে বলতেই থানায় ছুটলেন স্বামী
Threat: ২০১৬ সালে মায়াকে ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন। তাদের কন্যা সন্তানও রয়েছে। মেয়ে হওয়ার খুশিতে স্ত্রীর নামে তিনটি গাড়িও কিনেছিলেন। ২০২২ সালে স্ত্রীর নামে একটি জমি কেনেন। তার আত্মীয় নীরজ মৌর্য্যের কাছে বাড়ির চুক্তিপত্র রাখা ছিল।

লখনউ: ছেলেদের কাছে আতঙ্ক এখন নীল ড্রাম। কেন? ওই ড্রাম দেখলেই মনে পড়ে যাচ্ছে মিরাটের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, যেখানে স্ত্রী তাঁর প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে স্বামীকে কুচি কুচি করে এবং ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে জমিয়ে দেয়। ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডই এখন আতঙ্ক পুরুষদের কাছে। আর সেই ভয়কে কাজে লাগিয়েই খুনের হুমকি! স্ত্রী স্বামীকে হুমকি দিলেন যে তাঁর অবস্থাও মার্চেন্ট নেভি অফিসারের মতোই হবে।
এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন যে গোটা দেশের কাছেই উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিরাটে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। তাঁকে খুন করে কুচি কুচি করে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। এরপরে দেহ নীল রঙের বড় ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে জমিয়ে দেন। ওই ঘটনারই উদাহরণ দিয়ে এক মহিলা তাঁর স্বামীকে হুমকি দিচ্ছিলেন যে তাঁরও পরিণতি এক হবে। স্ত্রীর এই হুমকি শুনেই প্রাণ বাঁচাতে পুলিশের কাছে ছোটেন স্বামী। উল্টো দিকে স্ত্রী-ও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধর্মেন্দ্র কুশওয়াহা নামক এক যুবক পুলিশে অভিযোগ করেন যে তাঁর স্ত্রী মায়া মৌর্য্য ও তাঁর প্রেমিক নীরজ মৌর্য্য লাগাতার হেনস্থা করছেন, খুন করার চেষ্টা করছেন। যুবকের অভিযোগ, ২০১৬ সালে মায়াকে ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন। তাদের কন্যা সন্তানও রয়েছে। মেয়ে হওয়ার খুশিতে স্ত্রীর নামে তিনটি গাড়িও কিনেছিলেন। ২০২২ সালে স্ত্রীর নামে একটি জমি কেনেন। তার আত্মীয় নীরজ মৌর্য্যের কাছে বাড়ির চুক্তিপত্র রাখা ছিল।
পরে জানতে পারেন, নীরজের সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। এই নিয়ে আপত্তি জানাতেই স্ত্রী মায়া ও তাঁর প্রেমিক মারধর করে। বাড়ি ছেড়ে চলে যান মায়া। ২ বছর পর হঠাৎ একদিন নীরজকে নিয়ে ফিরে আসেন মায়া। লকার ভেঙে ১৫ গ্রামের সোনার চেইন ও নগদ নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ২৯ তারিখ মায়া আবার ফিরে এসে ধর্মেন্দ্রর মাকে মারধর করে। ধর্মেন্দ্র বাধা দিতে তাঁকেও মারধর করা হয়। ঝগড়ার মাঝেই মায়া হুমকি দেয়, “মিরাট কাণ্ডের মতোই তোমাকেও কুচিকুচি করে কেটে ড্রামে ভরে দেব”। স্ত্রী এই হুমকি দিতেই প্রাণভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। অন্যদিকে, স্ত্রীও পুলিশে গিয়ে অভিযোগ করেন যে স্বামী মিথ্যা কথা বলছে। তাঁর সম্মানহানি করতে মিথ্যা মামলা তৈরি করছে।





