গোটা NEET পরীক্ষাই কি বাতিল হয়ে যাবে? দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন…

NEET Exam: নিট পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বললেন, "আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও প্রমাণ মেলেনি এখনও। কিছু অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।"

গোটা NEET পরীক্ষাই কি বাতিল হয়ে যাবে? দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন...
ধর্মেন্দ্র প্রধান।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2024 | 8:22 AM

নয়া দিল্লি: নিট (NEET) নিয়ে তুমুল বিতর্ক। উঠেছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। চাপের মুখে পড়ে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (National Testing Agency) বা এনটিএ জানিয়েছে, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী যাদের গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তাদের স্কোরবোর্ড বাতিল করা হচ্ছে। ফের পরীক্ষা হবে। কিন্তু এতেই দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠছে প্রতিবাদের সুর। প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে হাজার প্রশ্ন। এই সব নিয়েই এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)।

নিট পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও প্রমাণ মেলেনি এখনও। কিছু অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। আগামী ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট রায়দান করবে, ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করি আমরা। কোনও কিছু লুকানোর নেই…”

চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা পরীক্ষাই হল নিট। এত বড় মাপের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করে দিলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে, তার ব্যাখ্যা করেই ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ৪৭০০-রও বেশি সেন্টারে ২৩ লক্ষের বেশী পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দিয়েছে। ১৩টি ভাষায় পরীক্ষা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে নির্দিষ্ট দুটি সেন্টার নিয়ে। যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টও রায় দিয়েছে। এরপরে এই নিয়ে বিভ্রান্তি থাকার কথা নয়।”

পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “যারা পুনরায় পরীক্ষা দিতে চান, তারা নির্দিষ্ট ৬টি সেন্টারে পরীক্ষা দিতে পারবেন। অভিযোগ উঠেছিল যে পরীক্ষার্থীরা যথেষ্ট সময় পায়নি উত্তর লেখার জন্য।”