Raja Parba Menstruation Festival: কোনও কাজ নয়, তিনদিন খালি পায়ে চলেন মহিলারা, খাবার তৈরি করেন পুরুষরা, কেন এই রীতি ওড়িশায়?

Raja Parba Menstruation Festival: ওড়িশায় তিনদিনের এই উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার। কুমারী মেয়েদের ঋতুস্রাব তিনদিন ধরে উদযাপন করা হয়। এই তিনদিন কিশোরী, যুবতী, বয়স্ক মহিলারা আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন। বাড়ির কোনও কাজ এইসময় তাঁদের করতে হয় না।

Raja Parba Menstruation Festival: কোনও কাজ নয়, তিনদিন খালি পায়ে চলেন মহিলারা, খাবার তৈরি করেন পুরুষরা, কেন এই রীতি ওড়িশায়?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2024 | 6:02 PM

ভুবনেশ্বর: ঋতুস্রাব উদযাপন। শুক্রবার, ১৪ জুন থেকে ওড়িশায় শুরু হয়েছে রাজা পর্ব বা মিথুন সংক্রান্তি উৎসব। ওড়িশাজুড়ে এই উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। এই তিনদিন মহিলারা নতুন নতুন পোশাক পরেন। নাচ-গানে মেতে ওঠেন। বহু বছর ধরে এই উৎসব পালন হয়ে আসছে ওড়িশায়। ওড়িশার দক্ষিণাংশে প্রথম এই উৎসব শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে সমগ্র ওড়িশায় এই উৎসব ছড়িয়ে পড়ে।

পৃথিবীর নারীত্ব উদযাপনের একটি উৎসব হল রাজা পর্ব। মানুষের বিশ্বাস, পৃথিবীর এইসময় ঋতুস্রাব হয়। এবং মাটিকে ফসলে ভরিয়ে দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতি মাসে সূর্য এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করে। সূর্য যখন বৃষ রাশি ছেড়ে মিথুন রাশিতে প্রবেশ করে, তখনই হয় মিথুন সংক্রান্তি।

এই তিনদিন কী করেন মহিলারা?

যদিও এই উৎসব কুমারী মেয়েদের জন্য, তবে সব মহিলা এতে মেতে ওঠেন। কিশোরী, যুবতী থেকে মহিলারা নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করেন। নাচ-গানে মেতে ওঠেন। অনেকে লুডো খেলেন। বয়স্করা নানারকম পান সেজে খান। মেয়েরা ঝুলনায় ঝোলে। পরম্পরাগত পোশাকে সেজে ওঠেন। মেহন্দি লাগান হাতে।

জগন্নাথদেবের পুজো-

পৃথিবী যেমন নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন, তেমনি প্রথম ঋতুস্রাব হওয়ার পর কিশোরীরা নিজেদের সাজিয়ে তোলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরে হলুদ-চন্দন লাগান। তারপর স্নান করেন। এরপর মহাপ্রভু জগন্নাথদেবের পুজো করেন। ভবিষ্যৎ জীবন সুখময় হওয়ার প্রার্থনা করেন।

এই তিনদিন কী খান মহিলারা?

এই তিনদিন অসিদ্ধ বা কাঁচা খাবার খান মহিলারা। খাবারে লবণ দেওয়া হয় না। মোসাম্বি, আম, কলা এবং লিচুর মতো ফল খান। ওড়িশার পরম্পরাগত খাবার পুর-পিঠা বানানো হয়। এই তিনদিন মহিলারা খালি পায়ে ঘোরেন। চপ্পলও পরেন না। মহিলাদের বাড়ির কোনও কাজ করতে হয় না। রান্না করেন পুরুষরা। সবচেয়ে বড় কথা, উৎসবের এই দিনগুলোতে ওড়িশায় কোনও খননের কাজ হয় না।