Ashwini Vaishnaw: মন্দা-মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও এগোচ্ছে ভারতের অর্থনীতি, WEF-এ সরকারের এজেন্ডা তুলে ধরলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব
Ashwini Vaishnaw at World Economic Forum: বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে, এই বিষয়ে সরকারের এজেন্ডা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
নয়া দিল্লি: সারা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্কট। এর মধ্যেও ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। তবে মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে জনসাধারণ। এমতাবস্থায় কীভাবে এই অর্থনীতির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে সরকার? সরকারের এজেন্ডাই বা কী? ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে সেটাই তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি রেল মন্ত্রকের দায়িত্বেও আছেন। বুধবার তিনি বলেছেন, করোনা মহামারি একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি করেছে। তবে ভারত এর মোকাবিলায় অত্যন্ত বাস্তবসম্মত উপায় অবলম্বন করেছে। একই সঙ্গে, সরকার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নরম অবস্থান নিয়েছে, এর কারণে আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার মাঝারি স্তরে রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, অর্থনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করছে ভারতের অর্থনীতি। সময়মতো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পলিসিগুলির সুদের হার পরিবর্তন করেছে। এই কারণে, দেশের নীতি কাঠামো সঠিক ছিল এবং দেশ যুক্তিসঙ্গত এবং মাঝারি মাপের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে উচ্চ এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি আরও বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে সুদের হার খুব বেশি বাড়াতে হয়নি বা একবারে কমাতেও হয়নি। দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। ফলে মূল্যস্ফীতির হার মাঝারি পর্যায়ে রাখতে পেরেছে ভারত।
বর্তমানে, ভারত সরকারের দেনার পরিমাণ জিডিপির ৫৫ শতাংশ। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বে করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট তরি হয়েছে। অনেক দেশ বড় আর্থিক প্যাকেজ দিয়ে তাদের কোষাগার খুলতে শুরু করেছে। ফলে বাজারে প্রচুর নগদ ঢুকে পড়ছে। এই কারণে উচ্চ মূল্যবৃদ্ধির চাপ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যাই বলুন না কেন, পুঁজির গুরুত্ব অনুভব করে ভারত খুবই বাস্তবোচিত পন্থা অবলম্বন করেছে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ভারত সরকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এছাড়াও বিনামূল্যে খাদ্য এবং বিনামূল্যে ভ্যাকসিন-সহ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল জনসংখ্যার উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই কাজগুলি করা সহজ হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত আরেকটি বাস্তবসম্মত পন্থা গ্রহণ করেছে। পৃথিবীতে দেখা যায়, হয় কোনও সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, অথবা সবকিছু থাকে বড় কোনও প্রযুক্তি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে। ভারতকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, ভারত সরকার একটি সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করেছে এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য একে খুলে দিয়েছে। যেমন ইউপিআই। আজ এই ব্যবস্থা অনেক বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থা থেকে শুরু করে স্টার্টআপগুলিতে ব্যবহার করছে এবং এতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, আর্থিক নীতি এবং মুদ্রানীতি যাতে সমানভাবে এগিয়ে চলে, সেটাই নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য অনেক দেশ না পারলেও, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাকেই ভারত প্রাথমিক লক্ষ্য গহিসেবে গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি একটি ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জনকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী ১০ বছর দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির গতি বজায় থাকবে বলে আশা সরকারের।