Live-in Partner: লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ বিছানার নীচে, গ্রেফতার যুবক

পালঘর: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এখনও ম্লান হয়নি। এর মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালবাসার দিন একের পর ভালোবাসার সঙ্গীকে খুন করার একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে।‌ এবার লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ বিছানার নীচে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোমিওর বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা। প্রেমিকাকে খুন করার পর রাজ্য ছেড়ে পালানোরও চেষ্টা করে অভিযুক্ত। যদিও রেহাই মেলেনি। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশে এক চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে রেলপুলিশ।

পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মেঘা (৩৭) সোমবার পালঘর জেলার তুলিঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ির ভিতরে খাটের গদির নীচে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মেঘার লিভ-ইন পার্টনারই তাঁকে খুন করে দেহ লুকিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ। তুলিঞ্জের পুলিশ আধিকারিকের দাবি, সপ্তাহখানেক আগেই মেঘাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। দেহ পচে গন্ধ বেরোতে শুরু করলে অভিযুক্ত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের নাগড়ায় একটি ট্রেন থেকে অভিযুক্ত রোমিওকে গ্রেফতার করে আরপিএফ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পালঘরের তুলিঞ্জ এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই যুবক এবং মেগা দীর্ঘদিন ধরে লিভ-ইনে থাকতেন। সম্প্রতি অভিযুক্তের চাকরি চলে যায়। তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। সেই বিবাদের জেরেই রোমিও মেঘাকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর ঘটনাটি গোপন করতে সে প্রেমিকার দেহ খাটের গদির নীচে রেখে দেয় রোমিও। সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাবে ভয় পেয়ে অভিযুক্ত বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোনোর খবর বেরোনোর কথা পুলিশকে জানান প্রতিবেশীরা। তারপর পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে ভিতরে তল্লাশি চালাতেই খাটের গদির নীচে থেকে উদ্ধার হয় মেঘার দেহ।

অভিযুক্ত প্রেমিকাকে খুন করার পর বাড়ি ছাড়ার আগে তার বোনকে মেসেজ করে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এরপরই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এদিনই মধ্যপ্রদেশের নাগড়া এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে অভিযুক্ত রোমিওকে গ্রেফতার করে আরপিএফ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তুলিঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে।