২৭০০ টাকার রেমডেজিভিরের ভায়াল ২৫ হাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল তিনজন

একের পর এক কালোবাজারির ঘটনা সামনে আসছে রাজ্যে। গড়িয়াহাটে রেমডেজিভির বিক্রি করতে যাচ্ছিল এই তিন ব্যক্তি।

২৭০০ টাকার রেমডেজিভিরের ভায়াল ২৫ হাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল তিনজন
তিনজনকে গ্রেফতার করল গুণ্ডাদমন শাখা
Follow Us:
| Updated on: May 13, 2021 | 12:33 PM

কলকাতা: করোনার সুনামিতে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, তখন জরুরি ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্রের কালোবাজারি তৈরি করেছে নতুন আতঙ্ক। কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা অক্সিজেনের সিলিন্ডার, যা কিনতে সর্বহারা হতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। বেশি দামে রেমডেজিভির বিক্রি করতে গিয়ে এবার হাতেনাতে ধরা পড়ল তিন জন। ডায়মণ্ডহারবার থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা। ২৭০০ টাকার রেমডেজিভির ২৫ হাজারে বিক্রি করতে যাচ্ছিল তারা।

বুধবার রাতে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে গুণ্ডাদমন শাখার বাহিনী। অভিযোগ ২৭০০ টাকার রেমডেজিভির ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল এদের। সেই মতো ওষুধ বিক্রি করতে যাচ্ছিল, আর সেই সময়ই তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। রাজকুমার রায়চৌধুরী, দেবব্রত সাহু ও ইন্দ্রজিৎ সাহু নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে ১৩২ কার্টুন রেমডেজিভির পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: শিশুদের চূড়ান্ত ট্রায়ালে ছাড়পত্র কোভ্যাক্সিনকে, সিলমোহর ডিসিজিআইর

গড়িয়াহাটের বাসিন্দা শঙ্কর সিংহ নামে এক ব্যক্তির কাছে ওই রেমডেজিভির বিক্রির চেষ্টা চলছিল। তিনি অভিযোগ করেন, ২৭০০ টাকার ভায়ালের জন্য তাঁর কাছে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। করোনাকালে ওষুধের কালোবাজারি রুখতে সব রাজ্যকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরও চলছে কালোবাজারি। শুধু রেমডেসিভির নয়, ওষুধের পাশাপাশি, কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অপরিহার্য যন্ত্রাংশ ফ্লো-মিটার নিয়ে। গত এক মাসে শুধু মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ১২০০ জাল রেমডেসিভির ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া জাল ওষুধগুলির মধ্যে নুন ও গ্লুকোজ রয়েছে।