BC Roy Hospital: বিসি রায় হাসপাতাল ‘অসহায়’! এত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করে কী লাভ? প্রশ্ন সজলের
BC Roy Hospital: সজল ঘোষ বলেন, 'অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল ওঁরাও অসহায়। সবটা বলতে পারছি না। আমরা চাই না ওঁকে চলে যেতে হোক। কিন্তু বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ থেকেও এখানে রেফার করা হলে বাচ্চা এমনিই মারা যাবে।'
কলকাতা: বিসি রায় হাসপাতালে কেবল শুক্রবারই সকাল থেকে তিনজন শিশুর মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এমন অবস্থায় এদিন দুপুরে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে পৌঁছে যান সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত সহ বিজেপির ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। বিসি রায় হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বেরিয়ে সজল ঘোষ বলেন, ‘অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল ওঁরাও অসহায়। সবটা বলতে পারছি না। আমরা চাই না ওঁকে চলে যেতে হোক। কিন্তু বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ থেকেও এখানে রেফার করা হলে বাচ্চা এমনিই মারা যাবে। জেলায় পরিকাঠামো নেই কেন? ভেন্টিলেটর প্রয়োজন। কোথায়? বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কেন অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা হচ্ছে না?’
সজল ঘোষের বক্তব্য, ‘এটি অনেকটা বাচ্চাদের কোভিডের মতো। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভেন্টিলেটর দরকার। সাধারণ ভেন্টিলেটর নয়, পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর দরকার। এখানে ৪০টি ভেন্টিলেটর আছে, ৪০টাই ব্যবহার হচ্ছে। তাহলে ৪১ তম রোগীকে ঈশ্বর বা আল্লাহ ছাড়া কেউ রক্ষা করার নেই।’ বিজেপি কাউন্সিলরের দাবি, এই শিশুদের পরিবারের কথাও যেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাবেন। এদিন বিসি রায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দশার কথাও তুলে ধরেন তিনি। সজল ঘোষের বক্তব্য, পরিস্থিতি দেখে তাঁর মনে হচ্ছে শিশুদের এই চিকিৎসা শুধুমাত্র বিসি রায় হাসপাতালেই চলছে। তাহলে রাজ্যের বাকি হাসপাতালগুলির ভূমিকা কী? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কাউন্সিলর। তাঁর প্রশ্ন, যদি শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থাই না থাকে, তাহলে এত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রেখে কী লাভ?
উল্লেখ্য, দূরবর্তী হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করার ফলে যে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সেই সমস্যার কথা আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখেও উঠে আসে দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে কলকাতায় রেফারের জন্য হওয়া সমস্যার কথা। এবার সেই ইস্যু নিয়েই রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি শিবির।