JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে সপাটে চড় মহিলা আইনজীবীর, হুলুস্থূল আদালত চত্বর

Jadavpur University: ওই মহিলা আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলছেন, 'উত্তেজিত হয়ে করে ফেলেছি।' তবে যে কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন, তা নিয়ে কোনও আফশোস দেখা গেল না কথাবার্তায়। বলছেন, 'মারতে তো সুযোগ পেলাম না। আরও ফেলে মারতাম। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা উচিত নয়।'

JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে সপাটে চড় মহিলা আইনজীবীর, হুলুস্থূল আদালত চত্বর
যাদবপুরকাণ্ডে এক অভিযুক্তকে চড় মারলেন মহিলা আইনজীবীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 10:45 PM

কলকাতা: যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর অভিযোগে জোরাল হয়েছে র‌্যাগিং-এর তত্ত্ব। শনিবার যাদবপুরকাণ্ড অভিযুক্ত ১২ জনকে পেশ করা হয়েছিল আলিপুর আদালতে। আদালত চত্বরে ধৃতদের নিয়ে যখন পুলিশ ঢুকছিল, এক ধৃতের গেঞ্জি টেনে ধরে পিঠে সপাটে চড় কষালেন এক মহিলা আইনজীবী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই মহিলা আইনজীবী এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন। অভিযুক্তদের যখন পুলিশ প্রিজন ভ্যান থেকে নামাচ্ছিল, তখন থেকেই রমা দাস নামে ওই মহিলা আইনজীবী উত্তেজিত হয়ে ছিলেন। প্রিজন ভ্যানের ভিতরে থাকা অভিযুক্তদের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘বেরিয়ে আয়, তোকে অভ্যর্থনা করব আমরা। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আছিস, ঠিক আছে। ভিতরে আগে ঢোক।’

এরপর ওই অভিযুক্তদের যখন একে একে নামানো হচ্ছিল, তখনই হঠাৎ করে এক অভিযুক্তকে আটকান মহিলা। অভিযুক্ত পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই মহিলা তাঁকে পিছন থেকে গেঞ্জি টেনে ধরেন এবং পিঠে সজোরে চড় কষান। যদিও পরক্ষণেই তাঁকে থামিয়ে দেন উপস্থিত পুলিশকর্মী ও অন্যরা। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই আইনজীবী? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে আইনজীবী মহলে। যদিও পরবর্তীতে ওই মহিলা আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলছেন, ‘উত্তেজিত হয়ে করে ফেলেছি।’ তবে যে কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন, তা নিয়ে কোনও আফশোস দেখা গেল না কথাবার্তায়। বলছেন, ‘মারতে তো সুযোগ পেলাম না। আরও ফেলে মারতাম। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা উচিত নয়।’

যাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের উপর বেজায় চটে রয়েছেন ওই মহিলা। বার বার নিজের কথায় তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বলছেন, ‘পুলিশ ব্যারিকেড করে জামাই আদরে নিয়ে গিয়েছে তো। জামাই আদরে একটু ফাঁক পেলেই, ওকে ফেলে ওর গলার নলি আমি টিপে ধরতাম। এখন আমার ৭২ বছর বয়স।’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অ্যান্টি-র‌্যাগিং সেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই মহিলা আইনজীবী।