Vice Chancellor Appointment: বোসের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
CV Ananda Bose: রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। মামলাকারী ওই অধ্যাপকের বক্তব্য, 'রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে'।
কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ (Vice Chancellor Appointment) ঘিরে ইতিমধ্যেই অনেক জলঘোলা হয়েছে। রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ আরও তীব্র হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজভবনের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য মানছে না এবং প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘিরে জট গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে জমা পড়েছে জনস্বার্থ মামলা। সম্প্রতি রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। মামলাকারী ওই অধ্যাপকের বক্তব্য, ‘রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।
জানা যাচ্ছে, ওই জনস্বার্থ মামলায় পার্টি করা হয়েছে রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপালকেও। আগামী সোমবার হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের আবহ আরও চরমে পৌঁছেছে। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এইভাবে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত তারা মানছে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল তথা আচার্য শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ুয়া স্বার্থের ক্ষেত্রে কোনও আপস করা চলবে না। এর জন্য সদ্য দায়িত্ব পাওয়া অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের ডেকে পাঠিয়ে রাজভবনে একটি বৈঠকও করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ‘কলকাতা কমিটমেন্ট’ অঙ্গীকার পাঠ করানো হয়েছে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। সেই প্রস্তাবগুলির মধ্যে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উদ্বেগ, দ্বিতীয় উদ্বেগ এবং তৃতীয় উদ্বেগ… পুরোটাই যেন পড়ুয়াকেন্দ্রিক হয়। দলগত ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে দূরে রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সেখানে। এমনই আরও একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ওই ‘কলকাতা কমিটমেন্টে’।