Aamir Khan: বিদেশে পালাতে পারে আমির খান! গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ১৫০ কোটি টাকার প্রতারণা: সূত্র

Aamir Khan: জানা গিয়েছে, আমিরের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই ই-নাগেটস অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আরও দুটি নতুন গেম অ্যাপ নিয়ে আসে আমির

Aamir Khan: বিদেশে পালাতে পারে আমির খান! গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ১৫০ কোটি টাকার প্রতারণা: সূত্র
আমির খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 5:40 PM

সিজার মণ্ডল: গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নয়া তথ্য ইডির হাতে। জানা যাচ্ছে, গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমির খানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের যোগ রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ বিনিয়োগ করত আমির খান। শুধু তাই নয়, আরও দুটি গেমিং অ্যাপ তৈরি করে প্রতারণা চালিয়েছে আমির। জানা গিয়েছে, আমিরের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই ই-নাগেটস অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আরও দুটি নতুন গেম অ্যাপ নিয়ে আসে আমির। এই মুহূর্তে আমিরকে হন্যে হয়ে খুঁজলেও তদন্তকারীদের অনুমান বিদেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত।

ইডির হাতে নয়া তথ্য:

জানা গিয়েছে,একাধিক অভিযোগ আসার পর ই-নাগেটস অ্যাপ বন্ধ করে দিয়ে আরও দুটি নতুন গেমিং অ্যাপ বাজারে নিয়ে আসে আমির। যেগুলি হল লাকি সিটি এবং ওয়াও আমাজন। সূত্রের খবর, এই সব গেমিং অ্যাপগুলির মাধ্যমে কমপক্ষে ৪৭ কোটি টাকা প্রতারণা করেছিল আমির। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে এসব প্রতারণা হয় বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নতুন অ্যাপ তৈরি করে কীভাবে আমির রমরমিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল, তা স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে।

প্রতারণার অঙ্ক:

ইডি সূত্রের খবর, আমিরের কাছ থেকে এই মুহূর্তে ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার হয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সুসংগঠিতভাবে প্রতারণা চালানো হতো। এই ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে পাঁচটি অ্যাকাউন্টে ঢুকত বিপুল টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে মাত্র ছয় মাসে ৪৭ কোটি টাকা ঢোকে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলিতে। যার মধ্যে আমির খানের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও আছে। এর সঙ্গে তার কোম্পানি জ়াভেরিয়ান টেকনলজি এবং মুম্বইয়ের একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টেও মোটা টাকার লেনদেন হয়। ইডির সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে টাকা উদ্ধার হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি যোগ:

জানা যাচ্ছে, প্রতারণার টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করত আমির। যার মধ্যে অন্যতম ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। কীভাবে? ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, জানমাই ল্যাব টেকনলজি নামে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। এই সংস্থাটি ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসা করে। ইডির অফিসারদের অনুমান, ওই সংস্থার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করত আমির। 

আমির এখন কোথায়?

সূত্রের খবর, আমির যে প্রতারণা চক্র চালাত, এর সঙ্গে দুবাইয়ের লিঙ্ক আগেই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আমির এর আগে একাধিক বার বিদেশ যাত্রা করেছে। এখনও পর্যন্ত আমির-সহ একাধিক অভিযুক্তর কোনও হদিশ মেলেনি। ইডির অনুমান, দুবাই কিংবা বিদেশের যে কোনও জায়গায় গা ঢাকা দিতে পারে আমির খান। কারণ, টাকা উদ্ধার হওয়ার সময় থেকেই আমিরের কোনও খোঁজ মেলেনি। অন্যান্য অভিযুক্তরাও বিদেশে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। 

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী বলে পরিচিত আমির খানের বাড়িতে হানা দেয় ইডির তদন্তকারীরা। দিনভর তল্লাশি চালানোর পর ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। অনলাইন গেম প্রতারণার অভিযোগ ওঠে আমিরের বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে ইডির দফতরে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জানমাই ল্যাব টেকনলজি সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে আমিরের টিকি খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।