Abhishek Banerjee: নিজের বেতন থেকে ১০০ দিনের ‘বঞ্চিত’দের টাকা পাঠাচ্ছেন অভিষেক
Abhishek Banerjee: গত অক্টোবরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাব, অন্তত এই আড়াই হাজার লোকের ২ বছরের পারিশ্রমিকের টাকা দিয়ে দিক রাজ্য সরকার।" ২ মাসের মধ্য়ে টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।
কলকাতা: কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। একদিকে যখন অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি চলছে গেরুয়া শিবিরে, তার মধ্যেই নয়া পদক্ষেপ ঘাসফুল শিবিরের। ৩০ নভেম্বরের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই জব কার্ড হোল্ডারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেল অভিষেকের চিঠি। নিজের বেতনের টাকা থেকে আর্থিক সাহায্যও করলেন তিনি। কেন্দ্র টাকা আটকে রাখলে নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। ৩০ নভেম্বরের মধ্য়ে সেই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তার আগেই পৌঁছে গেল আর্থিক সাহায্য। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিদিনে কোন পথে আন্দোলন এগোবে, তা উল্লেখ করেই চিঠি দিয়েছেন অভিষেক।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন বহু জব কার্ড হোল্ডার। মূলত তাঁদেরকেই চিহ্নিত করে টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
গত অক্টোবরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করেছি ২ বছর ধরে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাব, অন্তত এই আড়াই হাজার লোকের ২ বছরের পারিশ্রমিকের টাকা দিয়ে দিক রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার দিতে না পারলে দলের তরফ থেকে বিধায়ক ও সাংসদরা এক মাসের বেতনের টাকা দিয়ে ধাপে ধাপে বকেয়া মেটাব।” ২ মাসের মধ্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই সব শ্রমিকদের বাড়িতে অভিষেকের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে চিঠি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, এইভাবে টাকা দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন অভিষেক। মানুষ বুঝবে তৃণমূল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না। এদিকে, সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, এই চিঠি থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে গত কয়েক বছরে তৃণমূলের কোনও সাংসদ লোকসভায় ১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়ে সরব হননি।