‘মমতা ত্রিপুরায় পা রাখলে ভূমিকম্প হবে’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের

Abhishek Banerjee in TMCP Foundation Day: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, 'এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ত্রিপুরায় পা রাখেননি। মমতা ত্রিপুরায় পা রাখলে ভূমিকম্প হবে।'

'মমতা ত্রিপুরায় পা রাখলে ভূমিকম্প হবে', হুঁশিয়ারি অভিষেকের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2021 | 3:53 PM

কলকাতা: একুশের ভোটে বাংলায় মোদী-শাহের জয়রথ থামিয়ে তৃণমূলের চোখ এবার ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। তবে তার আগে আগামী বছর রয়েছে ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের (TMCP Foundation Day) ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের অধিকাংশ জুড়েই সেই ত্রিপুরা প্রসঙ্গই তুলে আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ত্রিপুরায় পা রাখেননি। মমতা ত্রিপুরায় পা রাখলে ভূমিকম্প হবে।’

অভিষেক এদিন বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতে বক্তৃতাও করেন। একুশের ভোটের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ছাত্র যুবর যে ভূমিকা ছিল তা অনবদ্য। ছাত্রযুব যে ভূমিকা পালন করেছে, যে লড়াই করেছে, নতমস্তষ্কে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।” কিন্তু আগামিদিনে লড়াইটা আরও বড় বলে কর্মীদের মনে করিয়ে দেন অভিষেক। বলেন, দলটা আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাঁর দাবি, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় সংগঠন সাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। অভিষেকের কথায়, “নেত্রীকে সামনে রেখে লড়াই তো চলবেই। তবে যে বিজেপি ভাবছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে নষ্ট করে বাংলা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখেছিল, তারা তৃণমূল যুব কংগ্রেস, ছাত্র যুবর কাছে আগেই ১০-০ গোলে হেরে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছনো তো দূরের কথা। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আপনাদের জন্য লড়াই করব।”

অভিষেক আরও বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে আর দুয়ারে গুন্ডা নয়, এবার দুয়ারে সরকার যাবে। তিনি সরাসরি অমিত শাহের দিকে সরাসরির চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “যারা ভাবছে ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ধমকে চমকে আটকে রাখবেন, আমরা তত লক্ষ্যে অবিচল থেকে অঙ্গীকারবদ্ধ হব। আপনারা যত এসব করবেন আমরা তত শক্ত হব।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ করেন, “যেখানে যেখানে বিজেপি রয়েছে। সেখানে মানুষ পদদলিত। সেই রাজ্য বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে আনব। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। সেই লক্ষ্যে অবিচল আমরা।” তাঁর কথায়, “ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ধমকে চমকে লাভ নেই।” উল্লেখ্য এদিনই কয়লা কাণ্ডে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেদিকে ইঙ্গিত করেই অভিষেকের এই মন্তব্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁর কথায়, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এগিয়ে যাবে তৃণমূল।”

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ত্রিপুরায় সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল। সেখানে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। ওদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাও তো এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ত্রিপুরায় পা রাখেননি। উনি পা রাখলে ত্রিপুরায় ভূমিকম্প হবে।”

অসম, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করেছেন অভিষেক। বলেন, তৃণমূল কর্মীরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সেখানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। আর এই কাজে ছাত্র-যুবদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অভিষেক।

উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ত্রিপুরাতেও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সেই উপলক্ষে বনমালি রোড থেকে মিছিল বের করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। কিন্তু এদিনও তৃণমূলের সেই মিছিল ঘিরে অশান্তি হয়। বেশকিছু স্থানীয় মানুষজনের তৃণমূলের যোগদানের কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সাত মিনিটের বক্তব্যে সে বিষয়টিকেও উল্লেখ করেন অভিষেক। আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেককে দিল্লি ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা