Model’s Mysterious Death: প্রেমিক না কাজ? তিন পাতার সুইসাইড নোটে কোন কারণের উল্লেখ করলেন বিদিশা?

Model's Mysterious Death: প্রেমিক অনুভবের সঙ্গে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিদিশার বান্ধবী। কিন্তু সুইসাইড নোট বলছে অন্য কথা।

Model's Mysterious Death: প্রেমিক না কাজ? তিন পাতার সুইসাইড নোটে কোন কারণের উল্লেখ করলেন বিদিশা?
বিদিশার মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 12:30 AM

কলকাতা: সোমবারই মেয়েটা বাড়ি থেকে ফিরল আর বুধবার রাতেই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। মডেল তথা অভিনেত্রী বিদিশার মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারেনি পরিবার। তাঁর মৃত্যু ঘিরে যে সব প্রশ্ন উঠে এসেছে, তার উত্তর নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে বিদিশার মৃতদেহের পাশে যে সুইসাইড নোট পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, তাতে সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা উল্লেখ করেননি ২১ বছরের ওই তরুণী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগেরবাজারের যে ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে তিন পাতার সুইসাইড নোট। দীর্ঘ ওই চিঠিতে বাবা, মা, বোন ও কাছের মানুষদের সবার নামই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সব শেষে তিনি লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পেশাগত চাপের জন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী।

সুইসাইড নোট থেকে বেশ বোঝা যাচ্ছে যে ২১ বছরের বিদিশা নিজের পরিচয় তৈরি করার জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। তিনি যে সেই কারণেই কাঁকিনাড়ার বাড়ি ছেড়ে নাগের বাজারে চলে এসেছিলেন, তেমনটাই জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। কিন্তু সেই ল়ড়াইতে আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছিলেন না বলেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত, প্রথমিকভাবে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। তিনি আগেও দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সাহস জোগাতে পারেননি। সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন সে কথাও।

প্রথমে পল্লবী, আর এবার বিদিশা। তরুণ অভিনেত্রীরা কেন এ ভাবে নিজেদের শেষ করে দেওয়ার পথে হাঁটছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। মনোবিদরা মনে করছেন, খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য পাওয়ার আশাই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাঁরা বলছেন, আদতে সফল হওয়ার আশা সবার মধ্যেই থাকে। কিন্তু তার জন্য অধ্যাবশায় থাকা প্রয়োজন, অনেক পরিশ্রমও করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তরুণ- তরুণীরা দ্রুত সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই লড়াইটা করার জন্য মানসিক জোর টা রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন মনোবিদরা।

তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে যে তিনি খুব খুশি ছিলেন না, তেমনটাই দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠদের। তাঁরই এক বান্ধবীকে পাঠানো মেসেজে বিদিশা বলেছেন, ‘ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না রে, বাবা-মায়ের থেকেও ওকে বেশি ভালোবাসি।’ প্রেমিক অনুভব বেরাকে নিয়েই এমনটা বলেছেন বলে দাবি বান্ধবী দিয়া দাসের। দিয়া জানিয়েছেন, অনুভবকে ভীষণ ভালোবাসতেন বিদিশা। কিন্তু সম্প্রতি জানতে পেরেছিলেন, অনুভব অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তারপর থেকে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।