Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Model’s Mysterious Death: ‘বাবা-মায়ের থেকেও বেশি ভালোবাসতাম রে ওকে’, উঠতি মডেলের ফোনের মেসেজের পরতে পরতে কোন রহস্য?

Model's Mysterious Death: মৃত্যুর কিছু আগেই বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করেছিলেন বিদিশা। বারবার তাঁকে টেক্সট করে জানিয়েছিলেন। সঙ্গীকে কতটা ভালোবাসেন, সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন।

Model's Mysterious Death: 'বাবা-মায়ের থেকেও বেশি ভালোবাসতাম রে ওকে', উঠতি মডেলের ফোনের মেসেজের পরতে পরতে কোন রহস্য?
মডেলের রহস্যমৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 1:45 PM

কলকাতা: ‘ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না রে, বাবা-মায়ের থেকেও ওকে বেশি ভালোবাসি।’ মৃত্যুর আগেই বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপে নিজের মনের কথা জানিয়েছিলেন উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদার। বুধবারই নাগেরবাজারের একটি আবাসন থেকে মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মডেলের ফোন ঘেঁটে বেশ কিছু তথ্য এসেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশের হাতে। আর তাতেই উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের কথা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, কেরিয়ারে প্রতিযোগিতা, আকাঙ্খা পূরণ না হওয়ার কারণে মানসিক চাপ থেকে কোনও চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিদিশা। কিন্তু সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। ফোন ঘাঁটতেই বেরিয়ে আসে এই তথ্য।

মৃত্যুর কিছু আগেই বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করেছিলেন বিদিশা। বারবার তাঁকে টেক্সট করে জানিয়েছিলেন। সঙ্গীকে কতটা ভালোবাসেন, সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। বান্ধবী দিয়া দাসের দাবি, অনুভব বেরা বলে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বিদিশার। তাঁকেই ভীষণ ভালোবাসতেন। কিন্তু বিদিশা ইদানীং জানতে পেরেছিলেন, অনুভব অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তারপর থেকে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।

বিদিশা শেষ ৪-৫ ধরে মডেলিংয়ের কাজ করছেন। মেদিনীপুরের বাসিন্দা অনুভবের সঙ্গে পরিচয় জিমে গিয়েই। অনুভব পেশায় জিম ট্রেনার।

জানা যাচ্ছে, বিদিশা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তবে মডেল হিসাবে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠার লড়াই জারি রেখেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রভাব পড়ছিল কাজেও। ঘনিষ্ঠমহলে নিজের বিচ্ছেদের কথা একাধিকবার জানিয়েছেন। নিজেকে শেষ করে দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন একাধিকবার।

বুধবার নাগেরবাজারের একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা, “মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি ক্যান্সার আক্রান্ত এবং পেশাগত চাপের জন্য সুইসাইড করেছি।”

কিন্তু মডেলের ফোন বলছে অন্য কথা। বিস্ফোরক দাবি করছেন বান্ধবীও। কেবলই পেশাগত চাপ কিংবা শারীরিক অসুস্থতা নয়। শক্ত মনের দিয়ার মন ভেঙেছেন অনুভব বলে এক যুবক, দাবি বান্ধবীর। নিজের প্রেম হারিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছেছেন বিদিশা। এমনই দাবি করছেন মডেলের ঘনিষ্ঠরা।

অনুভব নামে এই যুবকেরই এবার খোঁজ পেতে তৎপর তদন্তকারীরা। তাঁর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য উঠে আসতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। TV9 বাংলার তরফেও অনুভব বেরার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই বিদিশার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।