বিপর্যয়ে ‘বোধদয়’ পদ্মের: অভিমানীদের মান ভাঙিয়ে দলে টানার নির্দেশ শীর্ষ নেতৃত্বের

ভোট কেটে যাওয়ার প্রায় মাস দেড়েক পর বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন, সংগঠন একত্রিত না হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে পদ্মশিবির।

বিপর্যয়ে 'বোধদয়' পদ্মের: অভিমানীদের মান ভাঙিয়ে দলে টানার নির্দেশ শীর্ষ নেতৃত্বের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 18, 2021 | 5:04 PM

কলকাতা: কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ভোটে বিপর্যয়ের পরই সেই ‘বোধদয়’ হল বিজেপির। অবশেষে অভিমানী এবং দলের আদি কর্মীদের নতুন করে কাছে টানার বিষয়ে সচেষ্ঠ হচ্ছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের জন্য যারা দলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সংগঠনে পুনরায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হচ্ছে। ভোট কেটে যাওয়ার প্রায় মাস দেড়েক পর বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন, সংগঠন একত্রিত না হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে পদ্মশিবির।

শুক্রবার হেস্টিংসের দফতরে ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রভাবিত বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যের মতো নেতারা। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং-এর মতো হাজির বৈঠকে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আদি-নব্য সংঘাত ভুলে কাছে অভিমানী কর্মীদের সাংগঠনের মুলস্রোতে টানতে হবে।

ঘর সামলাতে বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরনো কর্মীদের অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে। ভোটের সময় তৃণমূল থেকে নেওয়া নেতাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টা যে পুরনোরা ভালভাবে নেয়নি, সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বৈঠকে। অন্তর্বর্তী আলোচনায় উল্লেখ পেয়েছে, আদিরা ভোটে দলের হয়ে কাজ করেননি। দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘কৌশিক চন্দ সক্রিয় বিজেপি সমর্থক ছিলেন’, পক্ষপাতদুষ্ট রায়ের আশঙ্কায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে চিঠি মমতার

এমন একটা পরস্থিতিতে যখন ভোটে হারের পরে নব্যদের মধ্যে দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে, তখন আবার সেই পুরনোদের খোঁজ পড়েছে দলের অন্দরে। কেন্দ্রীয় নেতারাও বুঝেছে, কোথায় ভুল হয়েছিল। সেই অনুসারে এ দিনের বৈঠকে জেলা কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা অভিমান করে দূরে চলে গিয়েছেন তাঁদের যেন মান ভাঙিয়ে কাজে ফেরানো হয়।

আরও পড়ুন: ঘরছাড়াদের ফেরাতে ফের কমিটি! কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনই সব করবে, নির্দেশ হাইকোর্টের