Kolkata Municipal Election: ‘প্রথমে বৃহৎ বিরোধী শক্তি, এরপরই দেশের প্রথম সেবকদল হবে তৃণমূল’, ভবিষ্যৎবাণী ফিরহাদের
Firhad Hakim: পুরভোট নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'ওরা ভীষণভাবে আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে। কেন ভয় পাচ্ছে জানি না।'
কলকাতা: মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে বৃহস্পতিবারই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই মুহূর্তে সে রাজ্যে তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল। মেঘালয় দিয়ে খাতা খুললেও আগামিদিনে লক্ষ্য যে দেশের অন্যান্য রাজ্যও এদিন সে বার্তাই দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বলেন, প্রথমে বৃহৎ বিরোধী শক্তি হিসাবে নিজেদের প্রতিপন্ন করবে তৃণমূল। এরপর ভারতবর্ষের প্রথম ‘সেবকদল’ হয়ে উঠবেন তাঁরা।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা ভারতবর্ষে বিরোধী দল হব, তার পর ভারতবর্ষের প্রথম সেবক দল হব। এতদিন শাসকদলরা কাজ করত। এবার সেবক দল কাজ করবে। মানুষের সেবা করবে। যেটা বাংলায় করছি আমরা।”
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, গণতন্ত্রের জন্যই তো ভোট। তৃণমূল সবসময় ভোটের জন্য প্রস্তুত। ফিরহাদের কথায়, “আমরা সারা বছর পড়াশোনা করি। তাই পরীক্ষার সময় পড়তে হয় না। আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য এতগুলো প্রকল্প করেছেন। গত ভোটের ফল তার প্রমাণও দিয়েছে। এবারও ভোটের ফল নিয়ে প্রত্যয়ী আমরা।”
এ কথার রেশ ধরেই ফিরহাদ হাকিম বঙ্গ বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “ভয় পাচ্ছে কেন বিজেপি বুঝতে পারছি না। ওরা ভীষণ ভাবে কনফিডেন্স লুজ করছে। এটা করছে বলেই কিন্তু ওরা ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। বাংলার পক্ষে ভাল। মানুষের পক্ষে ভাল। বিজেপি যত হারিয়ে যাবে তত ভাল। কিন্তু একটা দল কেন এরকম করবে? আমরাও তো বহু ভোটের মুখোমুখি হয়েছি বাম আমলে। ভোট না করানোর জন্য কখনও তো আদালতে যাইনি। বিজেপি মানুষের দরবারে আসতে ভয় কেন? মানছি, কিছুদিন আগেই বিধানসভায় প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। যতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে মানুষ ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তা বলে মানুষের অধিকার খর্ব করতে চাইবে? মানুষ ভোট দিয়ে নিজেদের কাউন্সিলার নির্বাচিত করতে পারবেন না? এটা তো গণতন্ত্রের একটা অংশ। এটায় এত ভয় কেন?”
পুরভোট নিয়ে বিজেপির মামলা প্রসঙ্গেও ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মহামান্য আদালত যদি মনে করতেন স্থগিতাদেশ দিতে পারতেন। কিন্তু বিজেপি যা চাইবে মহামান্য আদালত যে তা করবে এমন নয়।” একইসঙ্গে হাওড়ার পুরভোট নিয়ে টানাপোড়েন প্রসঙ্গেও ফিরহাদ মুখ খোলেন। বলেন, “আমি যা শুনেছি মহামান্য রাজ্যপালের জন্য হাওড়াটা দেরী হল।”
বিজেপির দাবি শুধু কলকাতা বা হাওড়া কেন, বাকি পুরসভাগুলিতেও ভোট করানো হোক এক সঙ্গে। আলাদা করে ভোট করানোর যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। তার জবাবে ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, “আট দফায় তো বিধানসভা ভোট হল। সেই সময় কেন বিজেপি স্বাগত জানিয়েছিল? তখন একটা জিনিসকে স্বাগত জানালেন, আজ বিরোধিতা করছেন দু’টো তো হতে পারে না। একই মুখে দু’টো কথা দিলীপদার (দিলীপ ঘোষ) মতো বর্ষীয়ান নেতাকে মানায় না।”