Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PSC Recruitment: ২০০-র মধ্যে ১৩ পেয়েও BDO পদে চাকরি! তুমুল বিক্ষোভ পিএসসি অফিসের সামনে

PSC Recruitment: শুক্রবার সকালে বিডিও'র নিয়োগে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় পিএসসি দুর্নীতি মঞ্চ।

PSC Recruitment: ২০০-র মধ্যে ১৩ পেয়েও BDO পদে চাকরি! তুমুল বিক্ষোভ পিএসসি অফিসের সামনে
পিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 9:05 PM

কলকাতা: ২০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১৩। তারপরও কীভাবে বিডিও হয়ে গেলেন প্রশান্ত বর্মণ? এই প্রশ্ন তুলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল ‘পিএসসি দুর্নীতি মঞ্চ’। শুধুমাত্র কালচিনির বিডিও-র চাকরিই নয়, পিএসসি-র বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একাধিক অভিযোগ নিয়ে তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজ্য জুড়ে স্কুল থেকে পুরসভা, সর্বত্রই উঠেছে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতোই পিএসসি-র বিরুদ্ধেও ওএমআর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীরা।

শুক্রবার সকালে বিডিও’র নিয়োগে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় পিএসসি দুর্নীতি মঞ্চ। মঞ্চের অভিযোগ, প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৩ নম্বর পেয়েও বিডিও হয়েছেন প্রশান্ত বর্মণ। পিএসসি’র কাছে আরটিআই করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওএম‌আর শিটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, ২০১৭ সালে প্রশান্ত বর্মণের মতো আর কেউ কি ১৩ নম্বর পেয়ে বিডিও হয়েছিলেন? সেই তথ্য পেশ করার দাবি জানানো হয়েছে পিএসসি-র কাছে।

এক‌ই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৮ সালে স্কুল ইনস্পেক্টর নন জয়েনিং নিয়োগ বাকি, ২০১৮ সালের‌ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওয়ার্কস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের নিয়োগ পরীক্ষা হলেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা। ফুড ইনস্পেক্টর পদে ২০১৮ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াও আইনি জটিলতায় সম্পন্ন হয়নি বলে দাবি প্রার্থীদের। নিয়োগ বাকি ২০১৯ সালের ক্লার্কশিপ এম‌এসপি’র । এছাড়া, মিসলেনিয়াস ২০১৯-এর নন জয়েনিং, আইসিডিএস সুপারভাইজার পদে, ২০২০ সালের ডব্লিউবিসিএসের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ বাকি বলেও দাবি। দীর্ঘ চার বছর ধরে কোনও নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত বর্মণের চাকরি হিমশৈলের চূড়া বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রশান্ত বর্মণের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, এই প্রসঙ্গে কয়েক মাস আগে আগেও অভিযোগ ওঠায় মুখ খুলেছিলেন তিনি। সেই সময় বলেছিলেন, বিডিও হিসেবে তাঁর কাজ প্রশংসা পাচ্ছে বলে, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ হয়ে পিএসসি-তে ভাল ফল করেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রচার হচ্ছে। দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের মূল হোতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। প্রশান্ত বর্মণ দাবি করেছিলেন, আদালতে মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর চাকরি যায়নি। আগামিদিনেও তাঁর জয় হবে বলেই আত্মবিশ্বাসী তিনি।